অ্যাপেন্ডিক্স সম্পর্কে জানেন নিশ্চয়ই। পেটের নিচে ডান দিকে পাকস্থলীর একটি অংশে রয়েছে সাড়ে তিন ইঞ্চি লম্বা নলাকার অঙ্গটি, যা অ্যাপেন্ডিক্স বলে পরিচিত। এর কাজ সম্পর্কে এখনে পরিষ্কার কিছু জানা যায়নি। অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা বা অ্যাপেন্ডিসাইটিস মূলত অ্যাপেন্ডিক্সের সংক্রমণ বা সমস্যা থেকে হয়। যথা সময়ে এই ব্যথা বা সংক্রমণের চিকিৎসা না করালে তা মারাত্মক হতে পারে। এমনকি প্রাণহানিও ঘটতে পারে।
যখন অ্যাপেন্ডিক্স ব্লক হয়ে যায় বা এতে সংক্রমণ হয়, তখন অ্যাপেন্ডিসাইটিসের সমস্যা হতে পারে। আগেভাগে এর তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চিকিৎসকেরা এ সমস্যার সমাধান করেন। এটি ফেটে গেলে মারাত্মক অবস্থা হতে পারে। তাই অবস্থা বেগতিক হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এর কিছু প্রাকৃতিক প্রতিরোধক আছে। এসব সম্পর্কে জেনে নিন :
মেথি: প্রাকৃতিকভাবে অ্যাপেন্ডিসাইটিস ঠেকাতে মেথি কার্যকর ভূমিকা রাখে। প্রাথমিকভাবে মেথি মিউকাস তৈরিতে বাধা দেয় এবং ব্যথা প্রতিরোধ করে। দুই চামচ মেথি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে ৩০ মিনিট সেদ্ধ করতে হবে। এরপর তা ছেঁকে নিয়ে দিনে দুইবার খেতে হবে।
বাদাম তেল: আলমন্ড অয়েল বা বাদামের তেল অ্যাপেন্ডিসাইটিসের প্রদাহ ঠেকাতে কার্যকর। এটিকে ম্যাসাজের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা যায়। পেটে বাদাম তেলের হালকা মালিশ করলে ব্যথা কমতে পারে।
জিনসেং: অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা কমানোর কার্যকর প্রতিরোধ হচ্ছে জিনসেং। দিনে দুইবার জিনসেং চা খেলে ব্যথা কমে যাবে।
সবজির জুস: গাজর, শসা বা বিটের জুস অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা দূর করতে জাদুর মতো কাজ করে। দিনে দুইবার এ ধরনের জুস খেতে পারেন। এ ছাড়া মুলা, ধনেপাতা ও পালংয়ের জুস মিশিয়ে খেলে প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা নিরাময় হয়।
পুদিনা পাতা: অ্যাপেন্ডিসাইটিস প্রতিরোধে পুদিনাপাতা দারুণ কার্যকর উপাদান। বমিভাব, গ্যাসের মতো উপসর্গ দূর করতে পারে পুদিনা। কয়েকটি পুদিনা পাতা সেদ্ধ করে চা হিসেবে দিনে তিনবার খেতে পারেন। এ ছাড়া পুদিনাপাতা চিবিয়ে খেলেও ব্যথা নিরাময় হয়।