রাজধানীতে হঠাৎ করেই কিছুটা বেড়েছে ডায়রিয়া রোগী। তবে এই ডায়রিয়ায় শিশুরাই আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। মহাখালীর আইসিডিডিআর’বির হিসেব মতেই এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তাদের এক হাসপাতালেই বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। দেশের অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
মহাখালীর আইসিডিডিআরবি’র হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডাঃ আজহারুল ইসলাম বুধবার সকালে বলেন, গত ২০ নভেম্বর আমাদের এখানে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৪২৭ জন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে গতকাল ২৬ নভেম্বর ভর্তি রেগীর সংখ্যা দাড়ায় ৫৮৮ জনে।
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশুরাই বেশি ভর্তি হচ্ছে বেশি বলে জানান তিনি।
আইসিডিডিআর’বিতে দেড় বছরের নাতনী কোলে নিয়ে ভর্তি কাউন্টারের সামনে দাড়িয়ে থাকা লতা বেগম এই প্রতিবেদককে জানান, গতকাল বিকেল থেকে হঠাৎ করেই তার নাতনীর বমি শুরু হয়। কোনো কিছুতেই বমি থামছিল না। রাতে শুরু হয় পাতলা পায়খানা। শিশুটি এত দুর্বল হয়ে পড়েছে যে, সে এখন চোখ মেলে তাকাতেও পারতেছে না। এরপর নিয়ে আসেন হাসপাতালে।
শুধু লতা বেগমই নন, মহাখালীর আইসিডিডিআর’বিতে রোগী নিয়ে আসছেন আরো অনেকেই। সবার রোগের ধরণও প্রায় একই।
কামরুল নামের এক যুবক দুদিন ধরেই ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে বিছানায় ছিলেন। বাসা তার মিরপুরে। স্থানীয়ভাবে ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধও খেয়েছেন; কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। আজ সকালে ভর্তি হতে এসেছেন মহাখালীতে।
আইসিডিডিআরবি’র হাসপাতাল সহকারী আনোয়ার জানান, বিকেলের দিকে রোগী বেশি ভর্তি হতে আসে। রোগীর হিসেব রাখতে ভর্তি শাখায় নির্দিষ্ট বোর্ডে প্রতি ঘন্টায় রোগী তথ্য লেখা হয়।
এদিকে আইসিডিডিআরবি চিকিৎসক ও হাসপাতাল শাখার পরিচালক আজহারুল ইসলাম জানান, শীতের শুরুতে ডায়রিয়ার একটা প্রাদুর্ভাব প্রতি বছরেই দেখা দেয়। এতে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ বছর বড়রাও আক্রান্ত হচ্ছে। লোটা ভাইরাসের কারনেই শীতের শুরুতে ডায়রিয়ার এই ঝুঁকি থাকে বলেও জানান এই চিকিৎসক।