আগামী দুই একদিনের মধ্যেই ডা. রাজন কর্মকারের মৃত্যুর ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সেলিম রেজা। সোমবার দুপুরে এ তথ্য জানান তিনি।
অধ্যাপক ডা. সেলিম রেজা বলেছেন, আমরা এক্ষুনি চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে পারবোনা। তবে, দুই একদিনের মধ্যে টেম্পোরারি একটা রিপোর্ট দিব। তার ভিসেরা রাজধানীর মহাখালীতে ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। ভিসেরা রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।ফাইনাল রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
আজ (সোমবার)সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্ত করেন সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সেলিম রেজা।
চিকিৎসক রাজন কর্মকারের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ডা. রাজনের মৃত্যু গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিরাট ক্ষতি। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে বলতে চাই, আমার এই তরুণ শিক্ষক অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিশীল, দক্ষ এবং তার যে ব্যবহার, আচার-আচরণ, আমি তাকে যতটুকু দেখেছি একজন পার্সোনালিটি সম্পন্ন এক্সপার্ট সে। তার মৃত্যু শুধু ডিপার্টমেন্টের জন্য না গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিরাট ক্ষতি।
রোববার ভোরে ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডের বাসা থেকে স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজন কর্মকারকে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসক রাজন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বড় মেয়ে ডা. কৃষ্ণা কাবেরীর জামাই। কৃষ্ণা কাবেরী বিএসএমএমইউতে সার্জারি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন ১৬ মার্চ।
ডা. রাজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অষ্টম ব্যাচের (বিডিএস) ছাত্র। প্রায় তিন বছর আগে পারিবারিক সম্মতিতে কৃষ্ণার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হন তিনি।