সুন্দর ত্বক কে না চায়। আর ত্বক সুন্দর করতে অনেক টাকা খরচ করে অনেক কিছুই করা হয়। তবে সহজলভ্য এমন সবজি রয়েছে যা ব্যবহার করে সহজেই আমরা সুন্দর ত্বক পেতে পারি।
অধিকাংশ ফল ও সবজিতে আঁশ রয়েছে, যা শরীরের টক্সিন বের করে দেয়। এ টক্সিনগুলোই ত্বক ও চুলের জন্য ক্ষতিকর। ফল ও সবজিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বকের অকালবার্ধক্য রোধ করে। হাতের কাছেই পাওয়া এসব উপকরণ মুখে লাগালে স্বল্পমেয়াদী ফলাফল পাওয়া যায়। আর এগুলো নিয়মিত খেলে তা ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায়, দীর্ঘমেয়াদে যার প্রভাব পড়ে চুল ও ত্বকে।
প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে উজ্জ্বল, দীপ্তিময় করতে এই জুসগুলো খাওয়া উচিৎ নিয়মিত।
গাজর ও বিট রুট জুস
ত্বকের জন্য গাজর ও বিট রুটের জুস খুব উপকারী। বিটরুটে পটাসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, ফলিক এসিড, ম্যাঙ্গানিস ও ভিটামিন সি রয়েছে। এর সবগুলোই রক্তকে পরিশুদ্ধ করে, ত্বক হয়ে ওঠে দীপ্তিময়। গাজওে ভিটামিন এ রয়েছে যা ব্রণ, বলিরেখা প্রতিরোধ করে। আর এ জুসে প্রচুর আঁশ থাকায় পেটও পরিষ্কার হয়ে যায়।
শসার জুস
শসার রস যেমন ত্বকের জন্য উপকারী তেমনি জুসও। এ জুস ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করে, ত্বককে আরো বেশি প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল করে তোলে। এতে থাকা অ্যাসকরবিক এসিড ও ক্যাফেইক এসিড শরীরে পানির প্রবাহ ঠিক রেখে ত্বকের ফোলাভাব দূর করে।
টাটকা টমেটো জুস
টমোটোতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা বলিরেখা, মুখে ভাঁজ পড়ার মতো অকাল বার্ধক্যের লক্ষণগুলো রোধ করে ত্বককে প্রাণবন্ত করে। মুখের লোমকূপ ছোট করে, রোদে পোড়া ভাব কমায়।
আনারের রস
আনার আমাদের রক্তকে পরিশুদ্ধ করে ত্বকে পুষ্টি যোগায় এবং একে উজ্জ্বল করে। এটাতে বার্ধক্যরোধক উপাদানও রয়েছে যা সেলের পুনর্জন্মেও মাধ্যমে ত্বককে সুন্দর করে তোলে।
পালং শাকের জুস
সবুজ পাতাওয়ালা সবজির জুস খেতে সুস্বাদু না হলেও সেগুলো ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এ জুসে প্রচুর আয়রন ও ভিটামিন কে রয়েছে, যা টান টান ত্বকের জন্য জরুরি। এছাড়াও এতে ভিটামিন সি, ই এবং ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে, যা বার্ধক্যরোধক হিসেবে কাজ করে।
পেঁপের জুস
পেঁপেতে পাপাইন নামক এনজাইম রয়েছে, যা ত্বক পরিষ্কার করে একে উজ্জ্বল করে তোলে। কোমল ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে প্রতিদিন এ জুস খাওয়া যেতে পারেট
অ্যালোভেরার জুস
অ্যালোভেরার জুসের অনেক উপকারিতা। এটা ত্বক ও চুলসহ সার্বিক সুস্থতা- দুটোর জন্যই সমান উপকারী। এটাতে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বজায় রাখে।
আদা ও লেবুর রস
আদা হলো পটাসিয়াম ও নিয়াকিনের খুব ভালো উৎস। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় মিনারেল এ দুটি। এ দুটি উপাদান ত্বককে স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে। শুধু আদার রস খাওয়া কষ্টকর। তাই একে মজাদার বানাতে এর সাথে লেবু ও অন্য কোনো সবজিও মেলানো যায়।
আপেল জুস
বলা হয়, দৈনিক একটি করে আপেল খেলে তা চিকিৎসককে দূরে রাখে। শুধু ত্বক নয়, বরং স্বাস্থ্যের জন্যও সমান উপকারী এ ফলটি। আপেলে থাকা কোলাজেন ত্বককে উজ্জ্বল করে। এটাতে বার্ধক্যরোধক উপাদানও রয়েছে।