কুঁচকে যাওয়া পোশাক পরতে যেমন আমরা পছন্দ করি না, তেমনি পছন্দ করি না ত্বকে কুঁচকানো ভাবও। ত্বকের এই কুঁচকে যাওয়াই বলিরেখা।
ময়েশ্চার ও স্থিতিস্থাপকতার অভাবে এ বলিরেখা দেখা দেয়। বয়স বেড়ে যাওয়া বলিরেখার অন্যতম কারণ হলেও সূর্যরশ্মি, পরিবেশ দূষণ, ধূমপান, পুষ্টির ঘাটতি ইত্যাদিও এর জন্য সমান দায়ী।
বলিরেখা দূর করতে বা প্রতিরোধে নানা ধরণের ক্রিম বাজারে প্রচলিত থাকলেও এর সমাধানে রয়েছে প্রাকৃতিক কিছু উপায়।
ডিমের সাদা অংশ
ডিম শুধু শরীরের জন্যই যে খুব উপকারী তা নয়। বরং এর সাদা অংশটা ত্বকের জন্যও সমান উপকারী। বলিরেখা দূর করতে খুব সহজেই আমরা এটা ব্যবহার করতে পারি। এজন্য প্রথমে ডিমের কিছুটা সাদা অংশ ভালোভাবে ফেটিয়ে নিয়ে সরাসরি তা ত্বকে লাগাতে হবে। এরপর হালকাভাবে ম্যাসাজ করে ১৫ মিনিট রেখে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
অলিভ অয়েল
বলিরেখা দূর করার প্রাকৃতিক আরেকটি উপাদান হলো অলিভ অয়েল। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক ফোঁটা অলিভ ত্বকে ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর তোয়ালে দিকে মুখ মুছে নিতে হবে।
লেবুর রস
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবুর রস প্রাকৃতিকভাবেই বলিরেখা দূর করতে সক্ষম। লেবুর রস মুখের ভাঁজগুলোতে লাগিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। লেবুর রস ত্বক উজ্জ্বলও করে তোলে। তবে অতিরিক্ত লেবুর রস ব্যবহারে ত্বকে ক্ষতি হতে পারে। তাই লক্ষ্য রাখতে হবে পরিমাণের দিকে।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরাতে ম্যালিক এসিড রয়েছে যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। এজন্য পাতা থেকে জেল বের করে নিয়ে সরাসরি মুখে লাগাতে হবে। এরপর ১৫ মিনিট বা না শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করে তা ধুয়ে ফেলতে হবে। জেলের সঙ্গে ভিটামিন ই তেল মিশিয়েও মুখে লাগানো যেতে পারে।
কলা
পুষ্টিকর এ ফলটি ত্বকের বলিরেখা দূর করতেও অনেক উপকারী। পাকা কলা ভালোভাবে চটকে নিয়ে সরাসরি মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে প্রায় আধা ঘন্টা। এরপর ধুয়ে নিতে হবে। এর সঙ্গে কিছু অ্যাভোকাডো ও মধুও মেশানো যেতে পারে।
গাজর
ভিটামিন এ সমৃদ্ধ এ সবজিটি ত্বকে কোলাজেনের উৎপাদন অব্যাহত রাখে। এতে করে ত্বক থাকে কোমল ও বলিরেখা মুক্ত। গাজর সিদ্ধ করে ব্লেন্ড করে পেস্ট বানিয়ে তা মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে আধাঘন্টা। এরপর ধুয়ে ফেলতে হবে। এর সঙ্গে মধুও মেশানো যেতে পারে।
আনারস
আনারসে যে এনজাইম রয়েছে তা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ও ময়েশ্চআর বাড়ায় এবং মৃত কোষ দূর করে। এটাতে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এক টুকরা আনারস মুখে ঘষে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলতে হবে।
পানি পান
ত্বকের বলিরেখা দূর করার অন্যতম সহজ একটি উপায় হলো প্রচুর পানি পান করা। দৈনিক দুই লিটার করে পানি পানে ত্বক থাকে আর্দ্র্র ও বলিরেখা মুক্ত।