সুস্থ থাকতে, নিজেকে সুন্দর রাখতে কত কিছুই না করি, কত টাকাই না ব্যয় করি আমরা, যায় অনেক সময়ও। সৌন্দর্য কেবল বাহ্যিক বিষয় নয়। এটা আসতে হয় ভেতর থেকে। সহজেই এই সার্বিক সৌন্দর্য ধরে রাখার উপায় জানিয়েছে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা।
লম্বা ও ভালো চুলের জন্য
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, চুল পড়ার অন্যতম কারণ হলো অভ্যন্তরীণ বিপাক প্রক্রিয়া। এছাড়া বিশেষ কিছু হরমোনের ভারসাম্যহীনতার জন্য নারী-পুরুষের চুল পড়তে পারে। খাবার থেকে আমরা যেসব পুষ্টি গ্রহণ করি তা চুলের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। বিপাক ক্রিয়া ঠিকঠাক রাখতে তাই খাদ্যতালিকায় ঘোল, ডাবের পানি, দারুচিনি এবং তরমুজ, আঙুর ও আনারের মতো ফল যোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। ডাবের পানি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় নিয়মিত এটা পানে তা নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে।
এছাড়া ভৃঙ্গরাজ হলো খুব উপকারী একটি ঔষধি, যার তেল ব্যবহারে চুলের যে কোনো ধরনের সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব। এটা প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে, চুল পড়া রোধ করে এবং চুলের গোড়া শক্ত করে।
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য
স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক পেতে রাসায়নিক জিনিসপত্রের পরিবর্তে প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা। এরকমই সর্বৎকৃষ্ট একটি প্রাকৃতিক উপাদান হলো চন্দন। এটা ত্বককে শীতল করে এবং ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে, ব্রণ প্রতিরোধে এটা খুব ইপকারী। এক চা চামচ চন্দন গুঁড়া, এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া ও কয়েক ফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে উপটান বানিয়ে ব্যবহার করলে ত্বক অনেক উজ্জ্বল হয়ে উঠে। এছাড়া খেতে হবে গাজর, বিট রুট বা আনারের মতো আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যা রক্ত পরিশোধনের মাধ্যমে ত্বকের উজ্জ্বলতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়।
হজমশক্তি বাড়াতে ও পাকস্থলির সমস্যা মোকাবেলায়
গ্যাস, পেট ফাঁপা, বদহজমের মতো সমস্যার সমাধানে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা অল্প কিছু আদা কুচির সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ও এক চিমটি লবণ মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এসব উপাদান খাওয়ার ফলে শরীরে হজমের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম তৈরি হয়, যা হজমশক্তি বাড়ায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মশলা খুব ভালো কাজ করে। এটা শরীরের অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপ ঠিকঠাক রাখতে সহায়তা করে।
ওজন কমানো
ওজন কমানোর জন্য পরিপাকতেন্ত্রের কার্যাবলী খুব জোরালো হওয়া উচিত। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, খুব সকালে বা রাতে নয় বরং দিনের সবচেয়ে ভারী খাবার খাওয়া উচিত দুপুরে। কারণ ওই দুই সময় হজম প্রক্রিয়ার গতি কমে যায়। ওজন কমানোর কাজ অব্যাহত রাখার আরেকটি ভালো উপায় হলো সকালে ঘুম থেকে উঠে ও সারাদিন ধরে উষ্ণ পানি পান অব্যাহত রাখা। হালকা গরম পানি পানে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে, যা বিপাক প্রক্রিয়া বাড়াতে সহায়তা করে।