চিকিৎসা ব্যবস্থায় একটা নতুন দিক খুলে দিয়েছে টেলি মেডিসিন। আমাদের দেশে অনেক ভালো ভালো হসপিটাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে, লোকবল আছে, যন্ত্রপাতি আছে সব আছে কিন্তু এতদিন আমরা শুধু টেকনোলজিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারি নি। আমরা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ গিয়ে রিপোর্ট এর জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করি। অথচ শুধু মাত্র একটা ইমেইল এর মাধ্যমে আমরা রিপোর্ট পেতে পারি ঘরে বসে থেকে, অথবা একজন রোগী তার নমুনা ল্যাবে জমা দেয়ার পর তার ডাক্তার রুমে অপেক্ষা করবে এবং ল্যাব থেকে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার কাছে ইমেইল অথবা সার্ভার এ রিপোর্ট চলে যাবে। কারন এখন একজন ডাক্তার একজন রোগীকে দেখে টেস্ট দিয়ে দেয় এবং রোগী রিপোর্ট এনে দিলে সে অনুযায়ী ঔষধ দিয়ে থাকে। এইরকম প্রাথমিক ব্যাপারগুলো কিন্তু আমরা অনায়াসে টেলিমেডিসিন এর মাধ্যমে সুফল পেতে পারি। বাংলাদেশেও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ধীরে ধীরে টেলিমেডিসিন চিকিৎসা ব্যবস্থা জনপ্রিয় হচ্ছে ৷ ‘আমাদের গ্রামাঞ্চলে অবস্থাটা এইরকম যে, কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দেখাতে হলে মাঝে মাঝে গোটা এক দিন লেগে যায়৷ এই সমস্যার একটা সুরাহার প্রয়োজন ৷ এক্ষেত্রে টেলিমেডিসিন বিশেষ ভূমিকা রাখছে ৷ ইতোমধ্যেই কিছু হাসপাতাল মোবাইল ফোন বা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দেওয়া শুরু করেছে৷ এতে টেলিফোন বা স্কাইপের মাধ্যমে রোগী ও ডাক্তার পরস্পরের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে পারেন৷ রোগবিষয়ক তথ্যাবলী ওয়েব ক্যামেরা বা ইমেইলের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷ এইভাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষজন বিশেষভাব উপকৃত হতে পারেন ৷