তথ্য-প্রযুক্তির কল্যাণে ক্যান্সার চিকিৎসায় অগ্রগতি

মানুষের শরীরের আর সব রোগের চেয়ে ক্যান্সার যতই জটিল হোক তথ্য-প্রযুক্তির কল্যাণে ও চিকিৎসা গবেষণার অগ্রগতির কারণে তা এখন চিকিৎসার আয়ত্তে। কোন কোন ক্ষেত্রে ক্যান্সার প্রতিরোধযোগ্য ও নিরাময়যোগ্য; উপরন্তু অন্যান্য জটিল অনেক রোগের চেয়ে ক্যান্সার অনেক বেশি সহনশীল। গত এক দশকে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার এই রোগের চিকিৎসায় বিশ্বব্যাপী ব্যাপক এক দিগন্তের উন্মোচন করেছে। বিশেষ করে আমাদের মতো নিম্ন-মধ্যম আয়ের (উন্নয়নশীল) দেশগুলোর জন্যে প্রযুক্তির সঠিক প্রয়োগ ক্যান্সার চিকিৎসার খরচ অনেক বেশি কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে যা বর্তমানে এই রোগের চিকিৎসায় আশীর্বাদ হয়ে এসেছে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের সংজ্ঞা অনুযায়ী ক্যান্সার দলীয় বা সমবেত অনেকগুলো রোগের একটি জেনেরিক শব্দ, যা শরীরের যে কোন অংশকে প্রভাবিত করতে পারে। দোষী টিউমারের একটি বড় বহিঃপ্রকাশ। ক্যান্সারের একটি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য হলো অস্বাভাবিক কোষগুলোর দ্রুত সৃষ্টি যা তাদের স্বাভাবিক সীমারেখা অতিক্রম করে দ্রুত প্রসারিত হয় ও শরীরের অন্যান্য অংশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই অঙ্গ পরবর্তী ক্ষতির প্রক্রিয়াকে বলা হয় মেটাস্ট্যাসিস আর এ থেকেই মৃত্যুর প্রধান কারণ হয় ক্যান্সার।

প্রকৃতিগতভাবেই মানবদেহ সর্বদা তার অক্ষত থাকার পথ খুঁজে এবং নিজেকে নিরাপদ রাখতে সচেষ্ট থাকে। যখন শরীরের কোষগুলোয় কোন অস্বাভাবিক প্রক্রিয়া শুরু হয় তখন সে আপনা থেকেই এটা জানিয়ে দেয় যার প্রকাশ ঘটে দৃশ্যমান বা অগোচরের টিউমার যার লক্ষণ নানাভাবে শরীরে ফুটে উঠে। চিকিৎসা বিজ্ঞান এই লক্ষণগুলো সুস্পষ্টভাবে নির্ণয়ের গবেষণা করছে বহু বছর ধরে যার অন্যতম সহায়ক হয়েছে তথ্য-প্রযুক্তি। কারণ, চিকিৎসা পদ্ধতির সামান্য ভুলের কারণে মানুষের শরীর বিদ্রোহ করে বসে ও কোন কোন ক্ষেত্রে নিরপরাধ শরীর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ক্ষতির মাত্রা উৎপাদনশীল টাকার অঙ্কে অনেক বেশি যা আলাদাভাবে হিসাব করলে একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্যে কতখানি অন্তরায় তা জানতে পারলে এক ভয়াবহ চিত্র আমাদের সামনে এসে হাজির হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১২ সালের হিসাবে (যা ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয়েছে) বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর শুধু নতুন ক্যান্সার রোগীর সংখ্যাই প্রায় ১৪ মিলিয়ন, প্রায় ৯ মিলিয়ন মানুষ ক্যান্সারে মারা যায় আর গড়ে ৩৩ মিলিয়ন মানুষ ক্যান্সার রোগ নিয়ে বাস করছেন। এই মৃত্যুর হার এইচ আই ভি/এইডস, ম্যালেরিয়া ও যক্ষা রোগের চেয়েও বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশঙ্কা প্রকাশ করছে, মাত্র দুই দশকের হিসাবে শতকরা ৭৫ ভাগ বৃদ্ধি পেয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে ক্যান্সারে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বছরে ১৪ মিলিয়ন থেকে ছাড়িয়ে ২২ মিলিয়ন হবে যা হবে বিশ্ব উন্নয়নের জন্যে এক বড় হুমকি কারণ। শুধু ক্যান্সারেই মৃত্যু হার বেড়ে দাঁড়াবে শতকরা ৪৫ ভাগে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অপর এক হিসাবে ২০১১ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে ক্যান্সারসহ অন্যান্য অসংক্রামক রোগে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা তথ্যে জানা যায়, পুরুষদের মধ্যে ক্যান্সারের পাঁচটি রোগ বেশি হচ্ছে- ফুসফুস, প্রোস্টেট, মলদ্বার সম্পর্কিত, পাকস্থলী ও লিভার ক্যান্সার আর মহিলাদের মধ্যে- স্তন, জরায়ু, ফুসফুস, মলদ্বার সম্পর্কিত ও পাকস্থলী ক্যান্সার বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এই পাঁচটি ক্যান্সারের প্রধান ঝুঁকির কারণ যা প্রায় সকল ক্যান্সারের এক তৃতীয়াংশ যেগুলো হলো- উচ্চ বডি মাস ইনডেক্স বা শরীরের উচ্চ ভর, কম ফল এবং শাকসবজি গ্রহণ, শারীরিক কার্যকলাপের অভাব, তামাক এবং এ্যালকোহল ব্যবহার। তামাকের ব্যবহারই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি বা ফ্যাক্টর এবং বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার মৃত্যুর প্রায় শতকরা প্রায় ২০ ভাগই হলো ফুসফুসের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ-ও বলছে, ক্যান্সার আক্রান্তদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সার মৃত্যুর হারই বেশি, শতকরা ৭০ ভাগ।

তথ্য-প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের ফলে চিকিৎসা বিজ্ঞান এর সর্বাধিক সুযোগ নিতে তৎপর আছে। জাতিসংঘের ২০০৩ সালের জেনেভা ঘোষণাপত্রের আলোকে বিশ্বব্যাপী যে ১১টি এ্যাকশন লাইন দেশগুলো মেনে চলছে তার মধ্যে ৭ নং-এ উল্লেখিত ‘জীবনের সকল স্তরে তথ্য-প্রযুক্তির সর্বাধিক ব্যবহার’ শীর্ষক কর্মসূচীর অন্যতম হলো ‘ই-হেলথ’ কর্মসূচী। দূরসেবা কার্যক্রম নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞান প্রচুর গবেষণা করছে ও অনেক ক্ষেত্রেই সফল হয়েছে। দেশে দেশে ইন্টারনেট সম্প্রসারণের ফলে মেডিক্যাল সফটওয়্যার ব্যবহার ও দূর নিয়ন্ত্রিত চিকিৎসা যন্ত্রাংশ সমন্বিত হয়ে অনেক জটিল রোগের চিকিৎসা করতে এখন সফল হচ্ছে।

অনেকেই জানেন ক্যান্সারের চিকিৎসার অনেকগুলো ধাপ অনুসরণ করতে হয়। চিকিৎসা শুরুর আগে সবচেয়ে জরুরী এর সঠিক নির্ণয়। যে কয়টি ধাপ মূলত ক্যান্সার চিকিৎসায় অনুসরণ করা হয় তার মধ্যে স্ক্রিনিং বা নির্ণয় কাজটি প্রাথমিক, সবচেয়ে জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে চিকিৎসক তার জ্ঞান, চিন্তা ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে যুক্ত করেন তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাওয়া ফল। এসবের সমন্বয়ে চিকিৎসার পরিকল্পনা নেয়া হয়। আর দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলাফল প্রধান নিয়ামক হয়ে উঠে। পাঠকের বুঝবার সুবিধার্থে উল্লেখ করছি, এই তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার কিন্তু শুধু যন্ত্রপাতির ব্যবহার নয়। যেমন ধরুন, একটি সফটওয়্যার একজন মানুষের প্রতিদিনের খাদ্যাভাস, হাঁটাচলা বা শারীরিক কার্যকলাপের তথ্য, রক্তচাপ, প্রাথমিক রোগশোকের বিবরণ, এমনকি তার ওজন, রক্তে শর্করার উপস্থিতির তথ্য, অতীতে চিকিৎসা নেবার বিবরণ ইত্যাদি টুকে রাখে। এখন যদি কেউ শরীরে একটি অস্বাভাবিক টিউমার বা শরীরের আচরণগত পরিবর্তন দেখেন তাহলে তিনি অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাবেন। চিকিৎসক সফটওয়্যারের সব তথ্য মিলিয়ে দেখে ওই মানুষের অস্বাভাবিক শারীরিক পরিবর্তনের কারণ নির্ণয় করতে পারবেন ও দেখা গেছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এতে চিকিৎসক সফল হয়ে থাকেন। আমাদের দেশে এরকম মেডিক্যাল সফটওয়্যার ব্যবহার হয় না বলে আমরা নিজেদের স্বাস্থ্য তথ্য সম্পর্কে কিছুই জানি না। যখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হই তখন ডাক্তার শুধু মুখের বিবরণ শুনে চিকিৎসা সেবার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা ও পরামর্শ দিয়ে থাকেন। পরে অনেক ক্ষেত্রে আবার আমরা সেসব রিপোর্ট ও প্রেসক্রিপশন হারিয়ে ফেলি। যার কারণে আমাদের চিকিৎসা সেবা শুধু ব্যাহতই হয় না, পরবর্তী চিকিৎসা কাজে তাৎক্ষণিক বিবরণ শুনে ডাক্তার চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন আর এতে কোন কোন ক্ষেত্রে পরম্পরা সংযোগ থাকে না বলে চিকিৎসায় ত্রুটি হয় যা স্বাভাবিক আর এতে অনেক ক্ষেত্রে আমরা ডাক্তার বা চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থাকে দোষ দেই যা সঠিক নয়।

বিশ্বের অনেক দেশেই এখন এরকম স্বাস্থ্য তথ্যের ব্যক্তিগত ভা-ার তৈরি হয়েছে যা চিকিৎসা সেবার জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্যান্সার নিরূপণে এরকম স্বাস্থ্য ভা-ার বা ডেটাবেজ থাকা আমাদের দেশের জন্যে খুবই জরুরী। এসব তথ্য এখন কেন্দ্রীয় সার্ভারে সুরক্ষিত থাকলেও মোবাইল ফোনের এ্যাপ ব্যবহার করে যে কোন সময়ে প্রাথমিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা পরিকল্পনা করতেও সহজ হয়। তাছাড়া এসব তথ্য থাকলে বিশেষ করে ক্যান্সারের ধারাবাহিক চিকিৎসার নানা ধাপের তথ্য ছাড়া এর চিকিৎসা সহজতর হয়।

উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ‘পয়েন্ট অব কেয়ার’ বা চিকিৎসা সেবার ধাপগুলোর জন্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গাইডলাইন তৈরি করেছে। এগুলো পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় সেগুলোর অনুসরণ করা আমাদের দেশের জন্যে তা খুবই প্রাসঙ্গিক। কারণ শুরুতেই কোন ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষের বড় হাসপাতালে যাবার কোনই দরকার পড়ে না। প্রাথমিক কেন্দ্রে একটি এক্স-রে বা আল্ট্রাসাউন্ড করে বা ন্যূনতম খরচে পরীক্ষা করে ক্যান্সারের ধারণা পাওয়া সম্ভব যা এখন পৃথিবীর সকল চিকিৎসা সেবায় একটি স্বীকৃত পদ্ধতি। আর এটা সম্ভব হয়েছে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে রোগীর প্রাপ্ত ডেটা বা তথ্য বিশ্লেষণ করেই। আজকাল যে কোন প্রান্তিক পর্যায়ে একটি এক্স-রে রিপোর্ট ও প্রাপ্ত স্বাস্থ্য মিলিয়ে দূর থেকেই কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রাথমিক পরামর্শ দিতে পারেন। যেমন ধরুন একজন ধূমপায়ী প্রাপ্ত বয়স্ক যিনি কিছুদিন যাবত কফ কাশিতে ভুগছেন ও জ্বরসহ স্বাভাবিক জীবনের কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করছেন। চিকিৎসক তাকে হয়ত বুকের এক্স-রেসহ কিছু পরীক্ষার পরে এন্টিবায়োটিক দিয়েছেন কিন্তু উপসর্গ থেকে গেলে বা নিরাময়ের লক্ষণ না দেখে দ্বিতীয় ধাপে তাকে আরও নিরীক্ষার জন্যে পাঠাবেন। সে ক্ষেত্রে সকল তথ্য সংরক্ষিত থাকা খুবই জরুরী কারণ এ ধরনের রোগী ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকিতে আছেন।

ক্যান্সার আক্রান্ত হলেই কোন মানুষ সঙ্গে সঙ্গে মারা যাবেন এমন ধারণা ভুল যদি তার রোগ সঠিকভাবে নিরূপিত না হয়ে থাকে। আজকাল তথ্য-প্রযুক্তির সুবাদে প্রাথমিক শনাক্তকরণের পরে পরবর্তী চিকিৎসা ধাপে যেমন সার্জারি, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি ইত্যাদি ক্ষেত্রে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে যথাসম্ভব সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত হয়েছে। ক্যান্সার টিউমার সার্জারিতে আজকাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে কেবল ক্ষতিগ্রস্ত অংশ অপসারণ করা হয়। এমনকি কেমোথেরাপিতে ওষুধের মাত্রা কতখানি হবে তা-ও ওই রোগীর স্বাস্থ্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই নির্ধারণ করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত কোষ যেন শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্যে ক্যান্সার রোগীকে এখন লাইনাক (লিনিয়র এক্সিলিটর) নামের যন্ত্রের মাধ্যমে রেডিওথেরাপি সেবা দেয়া হয়। আজকাল এসব যন্ত্রপাতি সম্পূর্ণভাবে সফটওয়্যার দিয়ে পরিচালিত হয় যার সুবিধা হলো শুধু যে অংশে এই থেরাপি দেয়া দরকার তা দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করেই নির্ধারণ করা যায়।

ডিজিটাল বাংলাদেশে ক্যান্সারের মতো চিকিৎসায় তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার অতি গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের দেশে উন্নতমানের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হলেও সেসবের চিকিৎসা ব্যয়বহুল ও প্রশ্নের উর্ধে নয়। আমাদের দেশের জন্যে প্রাথমিক রোগ নির্ণয়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকা জরুরী। স্বাস্থ্য তথ্য ভা-ার এ ক্ষেত্রে আমাদের জন্যে অনেক বেশি সহায়ক ও সাশ্রয়ী হবে। আমাদের দেশে এরকম সফটওয়্যার তৈরি করার সক্ষম জনশক্তি আছে। ক্যান্সারের মতো রোগের চিকিৎসা যখন দেশে দেশে অনেকটাই আয়ত্তের মধ্যে এসেছে তখন আমাদের পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যখন আমাদের রোগ ধরা পড়ে তখন ক্ষতিকর কোষ অনেকটাই অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছে ও চিকিৎসা সেবায় তার শুশ্রুষার সুযোগ তখন অনেক কমে আসে। বিশেষ করে আমাদের দেশের মহিলাদের ক্যান্সার নিরূপণে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে যেতে স্বাস্থ্য তথ্য সংরক্ষণ করা অতি জরুরী। নানা পর্যবেক্ষণ ও গবেষণায় দেখা গেছে বাংলাদেশে মহিলাদের ক্যান্সার হলে পরিবারের আর্থিক ক্ষতির বিবেচনা করা হয় বেশি, কিন্তু এর প্রভাব যে মানসিক স্বাস্থ্য, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে কতখানি বেশি তা আমরা চিন্তা করি না।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *