হাত ধোয়ার নিয়মকানুন

হাত পরিষ্কার রাখার অভ্যাস সবারই থাকা দরকার। যার মাধ্যমে সহজেই অসুস্থতা থেকে বাঁচা যায়। হাত নানা ধরনের জীবাণু বহন করে বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। তাই রোগমুক্ত থাকতে নিয়মিত সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। সঠিক নিয়মে হাত ধোয়ার অভ্যাস একটি ভালো ভ্যাকসিনের চেয়ে বেশি কাজ করে।
খাওয়াদাওয়ার শুরুতে যেমন হাত ধোয়া দরকার, তেমনি খাবার বানাতে বা পরিবেশন করতেও হাত ধোয়া জরুরি। আবার খাবার শেষে হাত ধুয়ে মোছার তোয়ালেটাও পরিষ্কার থাকা উচিত।
অনেকেই আবার হাঁচি, কাশি ইত্যাদি অপরিষ্কার জামা বা রুমালে মোছেন। এসবের মাধ্যমে এমনকি করমর্দনের মাধ্যমেও রোগ ছড়াতে পারে।
শিশুদের পাশাপাশি বড়দেরও হাত ধোয়া সবচেয়ে জরুরি। ময়লা হাতে খাদ্য খেলে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও অন্যান্য জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। ফলে সাধারণ ঠান্ডা বা ফ্লু থেকে শুরু করে ডায়রিয়া, জন্ডিস, আমাশয়, টাইফয়েড ইত্যাদিসহ বিভিন্ন পানি ও খাদ্যবাহিত রোগে আক্রান্ত হবে।

কখন হাত ধোয়া উচিত?
* খাবার তৈরি করার আগে এবং পরে
* খাওয়ার আগে
* অসুস্থ কারও সেবা করার আগে ও পরে
* দেহের কাটাছেঁড়া বা ক্ষতের চিকিৎসা করার আগে ও পরে
* পায়খানা-প্রস্রাবের পরে
* শিশুর ডায়াপার বদলানো বা পায়খানা পরিষ্কারের পর
* নাক ঝাড়া, কফ ফেলা বা হাঁচি দেবার পরে
* কোনো পশুপাখি বা পশুপাখির খাবার বা পশুর বিষ্ঠা ধরার পরে
* পোষা জীবজন্তুর খাবার ধরার পরে
* আবর্জনা ধরার পরে

কীভাবে হাত ধোয়া উচিত?
* পরিষ্কার পানিতে হাত কনুই পর্যন্ত ভিজিয়ে হাতে সাবান দিন।
* সাবান দুই হাতে লাগিয়ে কয়েক সেকেন্ড সময় ধরে হাতে হাত ঘষে ফেনা তৈরি করুন, আঙুলের ফাঁকে, নখের মধ্যে ও কবজিতে ভালোভাবে পরিষ্কার করুন
* পরিষ্কার চলমান পানিতে হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
* পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে হাত মুছুন অথবা বাতাসে শুকিয়ে নিন।
* পানি বা সাবান না থাকলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যায়। তবে হাত খুব বেশি ময়লা হলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার হাত থেকে সব জীবাণু এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ সরাতে পারে না।
লেখক: চিকিৎসক

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *