ছোট শিশুদের বেশি যত্নের প্রযোজন। তাদের খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে সব ব্যাপারেই বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। জন্মের পর প্রথম এক বছর তাদের বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির একটা বড় অংশই আসে মায়ের দুধ থেকে। ওজন দেখেই সাধারণত শিশুর সুস্থতা নির্ণয় করা হয়। তবে শুধুমাত্র ওজন দেখেই কিন্তু শিশুর সুস্থতা নির্ণয় করা ঠিক নয়। এরকম আরও কিছু নির্দেশক আছে যা দেখে বোঝা যায় শিশু সুস্থ আছে কিনা? পানিশূন্যতা এমন একটি সমস্যা। বড়দের মতো শিশুদেরও পানিশূন্যতার সমস্যা হতে পারে। কিছু কিছু লক্ষণের মাধ্যমে এ সমস্যা প্রকাশ পায়। যেমন-
১. শিশুর শরীরে পানির ঘাটতি হয়েছে কিনা তা বূঝতে ঠোঁট ও মুখের চারপাশে কোনো শুষ্কতা আছে কিনা, তা লক্ষ্য করুন। পানিশূন্যতার কারণে মাঝে মধ্যে হাত ও পা অস্বাভাবিক রকম ঠাণ্ডা বা গরম হতে পারে।
২. শিশু কান্না করলে যদি তার চোখ দিয়ে পানি না পড়ে তাহলে সেটা পানিশূন্যতার লক্ষণ হতে পারে।
৩. শিশুর শরীরে পানির ঘাটতি হলে প্রসাব গাঢ় হলুদ রঙের হয়।
৪. পানিশূন্যতা হলে বা শরীরে পুষ্টির অভাব ঘটলে শিশু আগের চেয়ে ঝিমিয়ে পড়ে। এছাড়া দিনের বেশিরভাগ সময়ই সে ঘুমিয়ে যায়। শিশুর মধ্যে এরকম লক্ষণ দেখা দিলে সাবধান হওয়া উচিত।
৫. শিশুর শরীরে পানি কম থাকলে সে খিটখিটে হয়ে পড়ে। এছাড়া শরীরে পানির ঘাটতি হলে শিশু সব সময় ঘ্যানঘ্যান বা অযথা কান্নাকাটি করতে পারে। তবে অন্য সমস্যার কারণেও শিশু অতিরিক্ত কান্নাকাটি করতে পারে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া