পায়ের সমস্যায় অবহেলা নয়

সমীক্ষা বলছে ২০৩০ সালের মধ্যে এই উপমহাদেশে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা হবে সবচেয়ে বেশি। প্রায় ক্যান্সারের মতোই দ্রুত গতিতে ভারতবর্ষে ছড়াচ্ছে এই রোগ। দীর্ঘদিন ধরে ব্লাড সুগরের সমস্যা থাকলে সেখান থেকে অন্যান্য উপসর্গের সৃষ্টি হয়। এবং পরে তা অন্যান্য অঙ্গের উপরও প্রভাব ফেলে। ত্বকের সমস্যা তো থাকেই, এছাড়াও বর্তমানে পায়ের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পায়ের ব্যাথা ছাড়াও সমস্যা হচ্ছে পায়ের পাতায়। পায়ের পাতা ভারী হয়ে যাওয়া, পা ফেলতে সমস্যা এসব তো থাকেই। পাায়ের এই সমস্যার জের ধরে ঘটতে পারে মৃত্যুও।

এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পায়ের পাতায় নানারকম চর্মরোগ। সেখান থেকেই ক্ষত তৈরি হয়। যা সারতে প্রচুর সময় লেগে যায়। ২৫ শতাংশ ডায়াবেটিসে ভোগা রোগীর মধ্যে এই সমস্যা দেখা যায়। কারণ পা নিয়ে আমরা বিশেষ কেউ ভাবি না। কিন্তু যেকোনো সংক্রমণের সূত্রপাত হয় ওই পায়ের পাতা থেকেই। ডায়াবেটিস রোগীদের এ কারণে পায়ের দিকে বিশেষ যত্ন নেয়া উচিত।
এখানে তাদের জন্য কিছু পরামর্শ দেয়া হলো।

১.প্রতিদিন ভালো করে পায়ের পাতা পর্যবেক্ষণ করুন। কোথাও কোনো ক্ষত বা ইনফেকশন হলে আগেই সচেতন হন।
২. বাড়ি ফিরে গরম পানিতে বাথ সল্ট দিয়ে কিছুক্ষণ পা চুবিয়ে রাখুন।
৩. মাইল্ড সোপ দিয়ে ভালো করে পায়ের পাতায় সাবান দিন।

৪. সস্তার জুতা পরবেন না। ভালো আরামদায়ক জুতা পরুন।
৫. প্রতিদিন নিয়ম করে মোজা পরুন।
৬. রাতের বেলায় শুতে যাওয়ার আগে ভালো করে পা ধুয়ে ফুট ম্যাসাজ করুন। এতে রক্ত চলাচল ভালো হবে।
৭. অতিরিক্ত রোদ, ধুলো বালি বা ঠান্ডার হাত থেকে পায়ের পাতা বাঁচিয়ে চলুন।
৮. যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবহেলা না করে প্রতি দুমাস অন্তর চিকিৎসকের কাছে যান।
৯. ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখুন। সিগারেট এড়িয়ে চলুন।
১০. ভেজা অবস্থায় জুতা পরবেন না। বা কোনো অবস্থাতেই ভেজা পায়ে চটি গলাবেন না। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *