স্বাস্থ্যখাতে অবদান রাখা সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে আগামী ২২ থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী সম্মেলন’।
আইসিডিডিআর,বি-র আয়োজনে সম্মেলনটির কার্যকরী সহযোগিতা করবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ব্র্যাক জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ (জেপিজিএসপিএইচ) এবং বাংলাদেশ সেভ দ্য চিলড্রেন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে। এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনে অসংক্রামক ব্যাধির নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্ভাবনা।’ মূল বিষয়ের আওতায় আরও বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে। সেগুলো-স্বল্প-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীদের, কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী ও সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা, অসংক্রামক রোগ-প্রতিরোধে কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী-সংশ্লিষ্ট কর্মসূচি এবং ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীদের অবস্থান।
সম্মেলনটিতে বিশ্বের ৩৫ দেশ থেকে প্রাপ্ত ২৩২ গবেষণা সারসংক্ষেপের (অ্যাবস্ট্র্যাক্ট) মধ্যে থেকে ১৪১ মৌখিক ও পোস্টার উপস্থাপনার জন্য নির্বাচিত হয়েছে। ১১ স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশ থেকে ২০ জন নবীন গবেষক বৃত্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি-র জানায়, ২০১৭ সালে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় প্রথমবারের মতো এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. নাসিমা সুলতানা বলেন, সারা বিশ্বেই কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীরা সবার জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে দ্বারে দ্বারে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার পেছনে একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে কাজ করছেন। ১৯২০ সালের দিকে কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীরা সর্বপ্রথম চীনে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কর্মসূচি, টিকাদান কর্মসূচি এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবাদান কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হন। বর্তমানে কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ‘বিকল্প স্বাস্থ্যসেবা কর্মী’ হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের মতো স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশে এখন সেবাখাতে কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীরা গুরুত্ব ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে, যা এখনই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে কার্যকর কৌশলপত্র তৈরির প্রচেষ্টা থাকবে সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবার (সিবিএইচসি) লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. আবুল হাশেম খান, আইসিডিডিআর,বি-র শেয়ার প্রকল্পের হেলথ সিস্টেমস ও পপুলেশন স্টাডিজ বিভাগের প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. ইকবাল আনোয়ার, ব্র্যাক জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ’র (জেপিজিএসপিএইচ) ডিন অধ্যাপক ড. সাবিনা ফয়েজ রশীদ, এমআইএস, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এমআইএস বিভাগের সাবেক লাইন ডিরেক্টর ডা. সমীর কান্তি সরকার প্রমুখ।
সম্মেলন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে ওয়েবসাইট থেকে।