ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণ জানতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি এ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে আদালতে।
ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব এ বিষয়ে তদন্ত করবেন। তদন্ত কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক, আইসিডিআরবির একজন কর্মকর্তা, প্ল্যান প্রোটেকশনের একজন কর্মকর্তা এবং পাবলিক হেলথ বিভাগের একজন কর্মকর্তার মতামত নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া, কমিটি চাইলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যেকোনো বিশেষজ্ঞ ব্যক্তির মতামত নিতে পারবেন বলে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী মাঈনুল হাসান।
মামলার শুনানিকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান আদালতকে জানান, এবছর ডেঙ্গুতে গত ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ১১২ জন মারা গেছেন।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর চলতি বছরে সারাদেশে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এডিস মশা নির্মূলে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
২৮ আগস্ট এক আদেশে আদালত ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের নেয়া কাজের অগ্রগতি জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক শুরু হলে ৪ জুলাই এক স্বপ্রণোদিত আদেশে ঢাকা সিটিতে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়াসহ এডিস মশা নির্মূল ও ধ্বংসে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। এরপর কয়েক দফায় এ বিষয়ে শুনানি হয় এবং নির্দেশনা দেন আদালত।
আদালতের আদেশে জরুরি ভিত্তিতে বিদেশ থেকে ওষুধ এনে ডেঙ্গু নিধনে কাজ করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।