মেডিকেল ইমারজেন্সি অবস্থায় করণীয়

মেডিকেল ইমারজেন্সি অবস্থায় করণীয় কিছু জরুরি তথ্য :

১. রক্তক্ষরণ (মারাত্মক রক্তক্ষরণ যা বন্ধ হচ্ছে না), ২. কলা, ৩. অতিরিক্ত শ্বাসকষ্ট, ৪. জ্ঞান হারানো, ৫. খিঁচুনি, ৬. মারাত্মক ব্যথা অনুভব করা, ৭. হার্ট অ্যাটাক, ৮. স্ট্রোক। মেডিকেল ইমারজেন্সি অবস্থা মোকাবিলায় প্রাথমিকভাবে করণীয় :

►  অবস্থার উন্নতিতে মাথা অবশ্যই ঠান্ডা রাখতে হবে।

►  প্রকৃত কারণ বের করতে হবে যা দ্বারা ইমারজেন্সি অবস্থা তৈরি হয়েছে।

►  যে কারণটিতে ঘটনা হয়েছে তা থেকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিরাপদ অবস্থানে সরিয়ে আনতে হবে।

►  প্রাথমিক চিকিৎসা বা First Aid   ব্যবস্থা নিতে হবে।

►  নিকটবর্তী হাসপাতাল বা সেবাকেন্দ্রে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

►  একই কারণ দ্বারা অন্য কোনো ব্যক্তির যাতে শারীরিক ক্ষতি না হয় সেদিকে সাবধান থাকতে হবে।

►  ইমারজেন্সি অ্যাম্বুলেন্স বা প্রয়োজনে ফায়ার সার্ভিসের নম্বরে কল করে সাহায্য চাইতে হবে।

►   যে কোনো মেডিকেল ইমারজেন্সি অবস্থা মোকাবিলায় emergency plan  বা জরুরি পরিকল্পনা সব অবস্থায় মাথায় রাখতে হবে।

►   ব্যক্তিগত, সামাজিক, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সবাইকে First Aid Management  ও Emergency Plan   -এর প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জাতীয় ইমারজেন্সি নম্বর হচ্ছে ৯৯৯ এই নম্বর জাতীয়ভাবে ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বরে চালু করা হয়েছে। এটি টোল-ফ্রি নম্বর। এই নম্বরে কল দিলে একজন অপারেটরের মাধ্যমে পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স বা ফায়ার সার্ভিসে সংযোগ করে দেওয়া হয়।

লেখক: ডা. এম এস মলি
এম.ফিল (খাদ্য ও পুষ্টি)

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *