সরকারী পরিসংখ্যানেই বেড়েছে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা। চলতি বছরে মোট মৃতের সংখ্যা ১০৭ থেকে বেড়ে ১১২ জনে পৌঁছেছে। বেসরকারী হিসাবে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা তিন শতাধিক। নবেম্বর মাসে এসেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি ডেঙ্গুর প্রকোপ। বুধবারও সারাদেশে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৮শ’। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৬ নবেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৭ হাজার ১৯৩। অক্টোবরে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ১৪৩। নবেম্বরের ৬ দিনে ডেঙ্গুতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১১শ’ জন। বুধবারও বরিশালে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
নভেম্বরে এসেও ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা অব্যাহত থাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, গত ১৮ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, প্রতিবছর জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি থাকে। ওই বছরগুলোতে বছরে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার অতিক্রম করেনি। অক্টোবর মাসের পর আক্রান্তের সংখ্যা আর হিসাবে আনা যায়নি। কিন্তু চলতি বছরের ডেঙ্গু পরিস্থিতি অনেকটা ব্যতিক্রম। নবেম্বরে ডেঙ্গুর যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তা গত ১৮ বছরের প্রতিটি বছরের ডেঙ্গুর পিক মৌসুমের চেয়েও আতঙ্কের। বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, গ্রামাঞ্চলের ডেঙ্গু পরিস্থিতি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের বাইরে রয়ে গেছে। বুধবার ঢাকার বাইরে তিনগুণ বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। চিকিৎসাধীন থাকা রোগীর সংখ্যাও গ্রামেই বেশি। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই গড়ে ১ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু ঘটছে।