এবার শুরু হয়েছে বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া। রবিবার এ সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজগুলো আগামী ৭ নবেম্বর ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজের প্রতিটি আসনের জন্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বরপ্রাপ্ত (যারা সরকারী কলেজে সুযোগ পাননি) ৭ জন শিক্ষার্থী। অর্থাৎ ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বরপ্রাপ্তদের প্রায় ৩৯ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবেন না। তার মধ্যে মেধা তালিকায় সামনের দিকে থেকেও উচ্চ ভর্তি ফি-এর কারণে মেডিক্যাল শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবেন অনেক দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আগামী ১৩ নভেম্বর ভর্তির আবেদনপত্র বিতরণ শুরু হবে এবং ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ২৭ নবেম্বর ভর্তি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে প্রণীত জাতীয় মেধা তালিকার ভিত্তিতে প্রাপ্ত সব আবেদনের কোটাভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে।
ফলাফল প্রকাশের পর ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় চলবে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত খালি আসন পূরণের জন্য অপেক্ষমান তালিকা থেকে মেধাক্রম অনুসরণ করে ভর্তি শেষ করা হবে এবং ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ক্লাস শুরু হবে। ন্যূনতম ৪০ বা তদূর্ধ নম্বরধারীদের যে মেধাতালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে সে অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যান্য কোটা নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। শিক্ষর্থীরা তাদের পছন্দের কলেজে আবেদন করবেন। ভর্তির ক্ষেত্রে কোনক্রমেই মেধাক্রম লঙ্ঘন করা যাবে না। একাধিক দফায় ভর্তি প্রয়োজন হলে প্রতিবারই মেধাক্রম অনুসরণ করতে হবে। প্রতিবার ভর্তির ক্ষেত্রে পাঁচ থেকে সাতদিন সময় দিতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইট থেকে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে বলে অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বেসরকারী কলেজের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি
দীর্ঘ সমালোচনা ও আলোচনার পর গতবছর বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ভর্তি ফি নির্ধারণ করে দেয় সরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে এক প্রজ্ঞাপনও জারি করে। বেসরকারী মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজগুলো নিজেদের ইচ্ছামতো বাড়তি অর্থগ্রহণ ঠেকাতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত ওই প্রজ্ঞাপনে জানা যায়, বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজগুলো ভর্তি ফি বাবদ ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা নিতে পারবে। ইন্টার্ন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এছাড়া পাঁচ বছরে মোট টিউশন ফি বাবদ ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার বেশি গ্রহণ করতে পারবে না। সরকারের পক্ষ থেকে ফি নির্ধারণ করে দেয়ার ফলে বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজ থেকে একজন শিক্ষার্থীর এমবিবিএস ডিগ্রী সম্পন্ন করতে মোট খরচ হবে ১৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। তবে ইন্টার্ন ফি বাবদ কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে যে টাকা গ্রহণ করবে পরবর্তীতে ইন্টার্নশিপ করার সময় তার লভ্যাংশসহ ফেরত দেবে। অথচ সরকারী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি ফি মাত্র ১২ হাজার টাকা (তিন মাসের টিউশন ফিসহ)।