প্রসূতি নার্সের মৃত্যুতে চিকিৎসককে দায়ী করে বিক্ষোভ

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স হাজেরা আক্তারের (২৪) অপারেশনজনিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করেছে তার সহকর্মীরা। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সোয়া ২টা পর্যন্ত হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

এসময় বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে তারা ওটি কমপ্লেক্সে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আবু মোঃ জাকির উল ইসলামকে আধাঘণ্টার মতো তালাবদ্ধ করে রাখে।

হাসপাতালের লেবার ইনচার্জ নিলুফা ইয়াসমীন, ওটি ইনচার্জ জুলেখা ও নার্স তিন্নি জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় জেনারেল হাসপাতালে লেবার ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স হাজেরা আক্তারের সিজার করেন হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ অমিত কুমার বসু। সিজারে পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। সিজারিয়ান সেকশনে ব্লিডিং বন্ধ না হওয়ায় এবং ইউরিন পাস না হওয়ায় ওইদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসক অমিত কুমার বসু তাকে দ্বিতীয়বার অপারেশন করেন। এরপরও ব্লিডিং বন্ধ না হওয়ায় রাত দেড়টায় তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় রংপুরে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় হাসপাতালে বিক্ষুব্ধ নার্সরা সকালে থেকে জড়ো হয়ে চিকিৎসক ডাঃ অমিত কুমার বসুকে অভিযুক্ত করে তার অপসারণ এবং নবজাতকের ভরণপোষণের দাবিতে স্লোগান দেয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দফায় দফায় নার্সদের সঙ্গে বসে আলোচনা চালিয়ে যান। কিন্তু নার্সরা কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে দুপুর সোয়া ২টার দিকে বিক্ষোভকারী নার্সদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সমঝোতা হওয়ায় কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ তুলে নেয়া হয়।

এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আবু মোঃ জাকির উল ইসলাম জানান, নার্সদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া ছিল। নবজাতকের ভরণ-পোষণের দায়িত্বটি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তবে রংপুর মেডিক্যাল কলেজের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ অপারেশনে কোন ত্রুটি ছিল না বলে জানিয়েছেন।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *