শীতেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা

চলতি বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি থাকায় মৌসুম শেষ হলেও আক্রান্তের সংখ্যা অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আর এ জন্য ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ধীরগতি আনা যাবে না বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, শীতপ্রধান দেশ না হওয়ার কারণে বাংলাদেশে সব সময়ই এডিস মশা তৈরির উপযুক্ত আবহাওয়া থাকে।

তিনি বলেন, নির্মাণাধীন ভবন, পানি সংকটের কারণে পানি ধরে রাখার প্রবণতাসহ নানা কারণে শীতের সময়ও মশা জন্মাবে।

কবিরুল বাশার বলেন, এখনও প্রতিদিন দুই শতাধিক রোগী আক্রান্ত হচ্ছেন। এ সময় এই সংখ্যাটা বেশ উদ্বেগজনক।

তিনি বলেন, ‘যেহেতু এ বছর প্রকোপটা একটু বেশি ছিল, তাই শীতেও একটু বেশি আশঙ্কা থাকবে।’

জাবি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক বলেন, ‘অন্যান্য বছর ডিসেম্বর-নভেম্বরে রোগীর সংখ্যা ১০০ হয়নি। আর এখন একদিনেই যদি দুইশ’র বেশি রোগী হয় তাহলে তা উদ্বেগজনক। কারণ টোটাল এক মাসেও একশ’ রোগী হওয়ার কথা না।’

আর তাই এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম কোনোভাবেই শিথিল করা যাবে না। যেভাবে কার্যক্রম চলছিল সেভাবেই অব্যাহত থাকতে হবে বলে জানান তিনি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল ডা. মোহাম্মদ শরীফ আহমেদ বলেন, যেহেতু ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে তাই এ বিষয়ে সচেতনতা কার্যক্রম কিছুটা ধীরগতি পেয়েছে। তবে মশা নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘প্রধান কাজ অর্থাৎ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গু মশার প্রজনন স্থল চিহ্নিত ও ধ্বংস করার কাজ চলবে। কেমিক্যাল কন্ট্রোল যেটা সেটাও চলবে।’

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অফ সিজনেও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা কার্যক্রমের প্রয়োজন রয়েছে যাতে বিভিন্ন স্থানে পানি জমে মশা জন্মাতে না পারে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন ও কন্ট্রোল রুমের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরে এ পর্যন্ত রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে ডেঙ্গু সন্দেহে ২৪৮টি মৃত্যুর তথ্য পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৭১টি মৃত্যু পর্যালোচনা করে ১০৭টি মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *