বিশ্বে পঞ্চাশোর্ধ্ব প্রতি তিন জন নারীর মধ্যে এক জন এবং প্রতি পাঁচ জন পুরুষের মধ্যে এক জন অস্টিওপরোসিস বা হাড়ক্ষয় রোগে আক্রান্ত হন। অর্থাৎ প্রতি ৮ জনে ২ জন এ রোগে আক্রান্ত। পশ্চিমা দেশগুলোর থেকে বাংলাদেশে অস্টিওপরোসিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কম হলেও ভবিষ্যতে দেশে এর হার বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
রোববার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর শাহবাগে বারডেম হাসপাতালে ‘বিশ্ব অস্টিওপরোসিস দিবস’ উপলক্ষে চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটি (বিইএস) আয়োজনে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে বক্তারা এ তথ্য তুলে ধরেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন বারডেম হাসপাতালের মহাপরিচালক (ডিজি) প্রফেসর জাফর এ লতিফ, বিইএস’র সভাপতি প্রফেসর মো. ফারুক পাঠান, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মো. হাফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি প্রফেসর এসএম আশরাফুজ্জামান, প্রফেসর এম এ হাসনাত, ডা. এমএ সামাদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ডা. আহমেদ সালাম মীর, ডা. ইন্দ্রজিত প্রসাদ, ডা. এম সাইফুদ্দিন।
প্রফেসর জাফর এ লতিফ বলেন, অস্টিওপরোসিসের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত গাইড লাইনের। বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনুসারে ক্যাটাগরির ভিত্তিতে গাইড লাইন তৈরি করতে হবে।
প্রফেসর মো. ফারুক পাঠান বলেন, অস্টিওপরোসিসে আক্রান্ত রোগীর হার দিনদিন বাড়ছে। যদিও পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় এশিয়া মহাদেশ তথা বাংলাদেশে এর হার কম হলেও ভবিষ্যতে দেশে এর হার বাড়তে পারে। নারীরা মূলত বেশি অস্টিওপরোসিসে আক্রান্ত হলেও পুরুষদের সংখ্যাও কম নয়। অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে পর্যাপ্ত নিউট্রিশন যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। এজন্য খাবারের তালিকায় ফল ও দুধ রাখতে হবে এবং প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট বাইরে ব্যায়াম করতে হবে।
প্রফেসর মো. হাফিজুর রহমান বলেন, এটি একটি প্রিভেন্টেবল ডিজিজ। সাধারণত নারীদের ক্ষেত্রে ৫০ বছরের পর এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে ৬০ বছরের পর হাড়ক্ষয় রোগ ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে যেকোনো বয়সের মানুষেরই ‘পিক বোন ম্যাশে’ সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে পরিবারের শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে অস্টিওপরোসিস বেশি ধরা পড়ে। তাই তাদের দিকে বেশি খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য পরিবারের সদস্যরা যাতে ভিটামিন-ডি ও ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার পর্যপ্ত খান সেদিকে জোর দিতে হবে।