মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় নেহা

২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন তৌফিকা রহমান নেহা।

তৌফিকা রহমান নেহা সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী। প্রকাশিত ফলাফলে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৮৯ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় হওয়ার গৌরব অর্জন করেন নেহা।

নেহার বাবা শেখ হাফিজুর রহমান সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা। সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোড মোড় এলাকায় বসবাস করেন তারা। নেহার মা নাজমা সুলতানা গৃহিণী। দুই ভাই-বোনের মধ্যে নেহা ছোট। নেহার বড় ভাই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে লেখাপড়া শেষ করেছেন।

মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস কোর্সে দ্বিতীয় হওয়ার অনুভূতি জানিয়ে তৌফিকা রহমান নেহা বলেন, এর চেয়ে বড় খুশির সংবাদ আর কিছুই হতে পারে না। আমি ভালো ডাক্তার হওয়ার আগে ভালো মানুষ হতে চাই। সেজন্য সবার দোয়া চাই।

সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে সাড়ে ১০ হাজারেরও বেশি আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৯ হাজার ৪১৩ জন। মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক কাজী আসাদ বলেন, তৌফিকা রহমান নেহা মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় দ্বিতীয় হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। তবে খুব বেশি কলেজে আসতো না নেহা। শুধু নেহা নয়, বিজ্ঞান বিভাগের অধিকাংশ শিক্ষার্থী কলেজে আসতে চায় না। সেক্ষেত্রে বলা যায়, ঠিকমতো ক্লাস না করেও দ্বিতীয় হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে নেহা। তবে এটা বলতেই হবে নেহা খুবই মেধাবী শিক্ষার্থী। ঠিকমতো ক্লাসে না আসায় তার বিষয়ে আমাদের বিস্তারিত জানা নেই।

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আফাজাল হোসেনের কাছে তৌফিকা রহমান নেহার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নেহার ব্যাপারে বিস্তারিত কিছুই আমি জানি না। তবে শুনেছি মেডিকেলের পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়েছে নেহা।

Sathkhira-(1)

এ বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন রংপুরের রাগীব নূরঅমিয়। তার টেস্ট স্কোর ৯০.৫০। তিনি রংপুর ক্যাডেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করেন। এসএসসিতে দিনাজপুর বোর্ডে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছেন। এর আগে তিনি রংপুর জিলা স্কুলে পড়াশোনা করেছেন।

অনুভূতি জানাতে গিয়ে রাগীব নূর অমিয় বলেন, ফলাফল পেয়ে ভীষণ খুশি আমি। এমন ফলাফলের পেছনে মা-বাবাসহ শিক্ষকদের অবদান সবচেয়ে বেশি। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে মানবতার সেবায় নিজেকে সম্পৃক্ত করতে চাই।

এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ৪৯ হাজার ৪১৩ জন পাস করে। পাসকৃতদের হার অনুযায়ী ছাত্র ৪৬ দশমিক ৩১ শতাংশ ও ছাত্রী ৫৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সরকারিতে নেয়া হবে ৪ হাজার ৬৮ জন আর বেসরকারিতে নেয়া হবে ৬ হাজার ৩৩৯ জন।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *