মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা বা ইউনিভার্সেল হেলথ কভারেজের একটি অপরিহার্য উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার বহুবিধ খাতভিত্তিক পরিকল্পনার মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দপ্তরে আয়োজিত মানসিক স্বাস্থ্য ফোরামের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে এ কথা বলেন জেনেভার জাতিসংঘে দপ্তরে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান।
মানসিক স্বাস্থ্য ফোরামের দুই দিনব্যাপী (১৪-১৫ অক্টোবর) এই বৈঠক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে আয়োজন করা হয়। এ বছর ফোরামের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘বৈশ্বিক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে মানসিক স্বাস্থ্য’। সংস্থার ১৯৪টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা এতে যোগ দিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য হিসেবে এই ফোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত আহসান ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। বিশেষ করে তিনি মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্বাস্থ্যের উন্নয়ন–সম্পর্কিত এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা ৩ দশমিক ৪ অর্জনের বিষয়ে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টি আমাদের সরকার অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনায় নিয়েছে এবং অতি সম্প্রতি মানসিক স্বাস্থ্য আইন, ২০১৮ প্রণয়ন ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্যনীতি চূড়ান্তকরণের মধ্য দিয়ে তার যথাযথ প্রতিফলন ঘটেছে।
রাষ্ট্রদূত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য কর্মপরিকল্পনা ২০১৩-২০৩০-এর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতির কথাও তুলে ধরেন। এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত আহসান জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজমবিষয়ক উপদেষ্টা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলের প্রচেষ্টা ও ব্যক্তিগত উদ্যোগের প্রশংসা করেন। বিজ্ঞপ্তি