মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার পাশাপাশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য গৃহীত কর্মসূচীর জন্য বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসের এ্যামস্টারডামে অনুষ্ঠিত ‘মেন্টাল হেলথ এ্যান্ড সাইকোসোশ্যাল সাপোর্ট ইন ক্রাইসিস সিচুয়েশন’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সফলতা অর্জন করায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। খবর বাসস’র।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই সেমিনারে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। রবিবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ওই সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের জাতীয় স্বাস্থ্য নীতিতে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি মানসিক স্বাস্থ্যের সার্বিক উন্নতিকল্পে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপগুলো সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সকলের অবগতির জন্য তুলে ধরেন।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, অতীতে মানসিক স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেয়া না হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এ সমস্যার প্রতিকারে দেশের সকল মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে পূর্ণাঙ্গভাবে এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে সীমিত পরিসরে এ সংক্রান্ত চিকিৎসা সেবা চালু করেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে মানসিক স্বাস্থ্যকে অন্তর্ভুক্ত করে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থার উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে ১০৫ বছরের পুরাতন ইন্ডিয়ান লুনাচি এ্যাক্ট-১৯১২ বিলুপ্ত করে মানসিক স্বাস্থ্য আইন-২০১৮ পাস করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এছাড়া সমস্যাটির টেকসই সমাধানকল্পে প্রধানমন্ত্রীর কন্যা এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম বিষয়ক উপদেষ্টা সায়মা হোসেনের নেতৃত্বে ‘ন্যাশনাল মেন্টাল হেলথ স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান’ প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে। গত ৭ অক্টোবর নেদারল্যান্ডসের বৈদেশিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী সিগরিদ কাগ দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং মানবিক ও জরুরী ত্রাণ সহায়তা সংক্রান্ত সমন্বয়ক মার্ক লোকক, আন্তর্জাতিক রেডক্রসের সেক্রেটারি জেনারেল এলহাজ আস সি, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ সংক্রান্ত সহকারী মহাপরিচালক রেন মিং ঘুই, ইউরোপিয়ান কমিশনের মানবিক সহায়তা ও ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিশনার ক্রিস্টস স্টিলিয়ান্ডেসসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অংশ নেন।