গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে বহুল প্রচলিত ওষুধ রেনিটিডিনে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান পাওয়ায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে ওষুধটি। সেই অনুসারে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশেও ওষুধটির ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। একইসাথে বাজার থেকে এই ওষুধ তুলে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় ওষুধ শিল্প সমিতি। এরপর চার দিন অতিবাহিত হলেও এখনো বরগুনার পাথরঘাটায় বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ রেনিটিডিন।
সোমবার পাথরঘাটা বাজারের ঘুরে দেখা গেছে, ওষুধের দোকানগুলোতে এখনো বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ রেনিটিডিন। শুধু ট্যাবলেটই নয়, রেনিটিডিনের সিরাপ এমনকি ইনজেকশনও বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা।
পাথরঘাটা বাজারের খুচরা ওষুধ বিক্রেতাদের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত কোম্পানি রেনিটিডিন ওষুধ ফিরিয়ে নিয়ে যায়নি। বরং আগের মতোই ওষুধটি বিক্রি হচ্ছে। তবে নতুন করে রেনিটিডিন ওষুধ দিচ্ছে না কোম্পানিগুলো।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাথরঘাটার খুচরা ওষুধ বিক্রেতারা জানান, গ্যাস্ট্রিকের জন্য মানুষ এক বাক্যেই রেনিটিডিন আর ওমিপ্রাজলকেই চেনে। তাই চাহিদা থাকার কারণে এই ওষুধ প্রচুর পরিমাণে আমরা কিনে রাখতাম। সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বা কোম্পানির লোকজনও আমাদেরকে কোনো নির্দেশনা দেননি।
এদিকে ওষুধ কোম্পানিগুলো নতুন রেনিটিডিনের চালান না দিলেও পুরনো রেনিটিডিন ফেরত নিয়ে যায়নি। আর চাহিদা বেশি থাকায় রেনিটিডিনগুলো এখনো পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে।
পাথরঘাটা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগ সমিতির সাধারণ সম্পাদক তানভীর হোসেন জানান, আমরা এরকম একটি খবর শুনেছি, তবে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো নির্দেশনা আসেনি। আমাদের কাছে নির্দেশনা না আসার কারণে এ উপজেলার সব ফার্মেসিতেই রেনিটিডিন বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের চিকিৎসক খালিদ মাহমুদ আরিফ জানান, সকল ওষুধের উপরে এ নিষেধাজ্ঞা বসানো হয়নি। অল্প কিছু প্রডাক্টের উপরে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।