বাংলাদেশে প্রতি বছর সাড়ে তিন লাখের বেশি মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হচ্ছে। একইসঙ্গে যক্ষ্মায় ভুগে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। যাদের আবার ২০ ভাগই তামাক ব্যবহারের কারণ বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। গতকাল রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে উন্মোচিত জনস্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা সংস্থা ‘আর্ক ফাউন্ডেশন’ পরিচালিত ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় তামাক বর্জন : বাস্তবতা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক গবেষণায় প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর বণিক বার্তার।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত এই গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীদের শতকরা ১৮ ভাগ ধূমপায়ী। পুরুষ রোগীদের প্রতি তিনজনে একজন ধূমপান করেন। ধূমপানের কারণে যক্ষ্মা রোগীর মৃত্যুর সম্ভাবনা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে যক্ষ্মা রোগিদের তামাক সেবনের অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসার জন্য স্বাস্থ্য সেবাদানকারীর সংক্ষিপ্ত কাউন্সেলিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ফলে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে তামাক বর্জন কর্মসূচি যুক্ত করা জরুরী। কারণ তামাক বর্জনে সহায়তা পেলে প্রতি বছর বাংলাদেশে ১৪ হাজার যক্ষ্মা রোগি তামাকের অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে বলেও গবেষণায় বলা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য) মো. সাইদুর রহমান বলেন, যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা নিতে যারা ‘ডট্স সেন্টার’ এ আসবে তাদের জন্য তামাক সেবন ত্যাগ করা বাধ্যতামূলক করতে হবে। ছয় মাসের চিকিত্সাকালীন সময়ে তাদের তামাক ছাড়ানো সম্ভব। এছাড়া যক্ষ্মা রোগীদের শতভাগ তামাকমুক্ত রাখতে হবে। যক্ষ্মা রোগের চিকিত্সায় বিশেষায়িত যেসব হাসপাতাল রয়েছে সেসব হাসপাতালে এই সহায়তা কর্মসূচি থাকা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
এসময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহ মনির হোসেন। অনুষ্ঠানে গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য উপস্থাপন করেন আর্ক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. রুমানা হক।