নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় ভুল চিকিৎসায় এক নববধূর মৃত্যুর অভিযোগের পর ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে বনপাড়া হেলথকেয়ার জেনারেল হাসপাতাল সিলগালা করে দিয়েছে।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার পারভেজ।
এ সময় হাসপাতালের মালিক আরশেদ আলীকে (৬৫) গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি উপজেলার মাঝগাও ইউনিয়নের নটাবাড়ীয়া গ্রামের মৃত অসিমউদ্দিনের ছেলে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ জানান, হাসপাতাল চালানোর অনুমতির কাগজপত্র ঠিক নেই। আবাসিক মেডিকেল অফিসার নেই এবং পরীক্ষার যন্ত্রপাতি যথার্থ না থাকায় সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
এর আগে ভোর ৪টায় ওই হাসপাতালে মারা যায় উপজেলার রামেশ্বরপুর গ্রামের সবুজ হোসেনের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন (১৬)। সুমাইয়া বড়াইগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
মৃত সুমাইয়ার মা মোমেনা খাতুন জানান, শনিবার সন্ধ্যায় সুমাইয়ার পেটে ব্যথা হলে তাকে বনপাড়া হেলথকেয়ার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ৮টার দিকে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক সামিরা তাবাচ্ছুম সাথী তার এপেন্ডিসাইটিসের অপারেশন করেন। রোগীর অবস্থা খারাপ হলে রাত ৩টার দিকে ইনজেকশন পুশ করেন এবং তার এক ঘণ্টা পর সুমাইয়া মারা যায।
সকালে সুমাইয়ার আত্মীয়রা পুলিশকে এই বিষয়ে অভিযোগ করলে ঘটনা তদন্তে আসেন বড়াইগ্রাম সার্কেল এএসপি হারুন-অর-রশিদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ। তদন্ত শেষে হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয়া হয় ও মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট ডাক্তার ও নার্স পালিয়ে গেছেন। পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। সূত্র রাইজিংবিডি ডট কম