রঙ ফর্সাকারী ক্রিম ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়!

ত্বকের রঙটা একটু চাপা অথবা রোদে রোজ বের হওয়ার কারণে গায়ের রঙ তামাটে হয়ে গেছে, আর এগুলোর সহজ সমাধান হিসেবে অনেকেই ত্বকের রঙ ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহার করেন। বাজারে নিত্য নতুন ব্র্যান্ডের রঙ ফর্সাকারী ক্রিম আসছেও সমান তালে। কিন্তু এগুলো কি আসলেই কাজে দেয়? ফর্সা করে ত্বকের রঙ? রঙ ফর্সাকারী ক্রিম বলতে আমরা যেগুলোর কথা জানি এগুলোর বেশিরভাগেই রয়েছে হাইড্রোকুইনান। তাছাড়া এগুলোয় থাকে মার্কারির মতো ক্ষতিকারক উপাদান।

ব্রিটিশ স্কিন ফাউন্ডেশনের মতে, কারও যদি ত্বকে কোনো ধরনের সমস্যা থাকে তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা উচিৎ। লিগ্যাল গভর্নমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (এলজিএ) ভাষ্য, এই বিষাক্ত পণ্যগুলো খুচরা বিক্রেতারা অনলাইনে, বাজারে ও গাড়িতে করে নিয়ে বিক্রি করছে। এগুলোয় উপাদানের সঠিক মাত্রা না থাকায় তা গ্রাহকের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।

এলজিএ এর বর্ণনা অনুযায়ী, হাইড্রোকুইনান ত্বকের উপরের স্তরটি সরিয়ে ফেলে ও ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তাছাড়া তা লিভার ও কিডনির মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। মার্কারিও একই রকম স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে।

গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলির কারণে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরামর্শ না দেয়া পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে হাইড্রোকুইনান, স্টেরয়েড বা পারদযুক্ত ক্রিম ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এলজিএ এর সেফার অ্যান্ড স্ট্রংগার কমিউনিটি বোর্ডের চেয়ারম্যান সিমন ব্যাকহাম বলেন, নিষিদ্ধ উপাদানযুক্ত ক্রিমগুলো ত্বকের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এগুলো স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। যার নেতিবাচক ফলাফল সারাজীবন ভোগ করতে হতে পারে। অনেকক্ষেত্রে তা মৃত্যুর কারণও হয়ে উঠতে পারে। তাই যেকোনো মূল্যে সবসময় এগুলো এড়িয়ে চলা উচিৎ। 

গ্রাহকদের উচিৎ সবসময় ত্বকে ব্যবহার্য ক্রিমের উপাদানগুলো পরীক্ষা করা।যদি এমন হয়- কোনো ক্রিমের দাম খুব কম তাহলে ধরে নিতে হবে ক্রিমটি নকল বা এগুলো ব্যবহারে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।  হাইড্রোকুইনানযুক্ত কোনও পণ্য কখনও ব্যবহার করা যাবে না। আর যদি পণ্যের গায়ে এতে ব্যবহৃত উপাদানগুলো লেখা না থাকে তাহলে এটি ব্যবহার না করারও পরামর্শ দিয়েছেন ব্যাকহাম। 

ব্রিটিশ স্কিন ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র লিসা বাইকারস্টাফি বলেন, নিষিদ্ধ ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমের বিষয়টি বছরের পর বছর উঠে এসেছে। তিনি আরও বলেন, কাউন্টারের অধীনে নাকি অনলাইনে নিষিদ্ধ এসব পণ্য বিক্রির মাধ্যমে সমস্যা বাড়ছে কিনা তা জানা মুশকিল। ব্রিটিশ স্কিন ফাউন্ডেশন এগুলো ব্যবহার না করার পক্ষে ভীষণভাবে জোর দিয়েছে। যদি ত্বকেরে রঙ নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে তা হলে ত্বক বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন ও পরামর্শ নিন। 

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *