মোঃ আজিনুর রহমান লিমন : ব্যাধি নিরাময়ের প্রধান মাধ্যম হলো ওষুধ। তাই ওষুধকে জীবন রক্ষাকারী পণ্য বলা হয়ে থাকে। ওষুধ প্রস্তুতকারীতে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক উপরে। বাংলাদেশে বর্তমান ওষুধ কোম্পানির সংখ্যা তুলনামূলকহারে অনেক বেশি। ব্যাঙের ছাতার মতো দিন দিন বেড়েই চলছে ওষুধ কোম্পানি। কোম্পানি বাড়লেও গুণগতমান দিন দিন কমেই যাচ্ছে। নকল ওষুধে ভরপুর হয়ে গেছে ফার্মেসিগুলো। অধিক লাভের আশায় নকল ওষুধ রাখছে ফার্মেসিতে। এতে প্রতারণার স্বীকার হচ্ছে সাধারণ জনগণ। গুণগত কোম্পানির ১৫০ টাকার ওষুধ, নকল কোম্পানির কাছ থেকে ৩০ টাকায় কিনতে পারে। অথচ চেনার কোন উপায় নেই যে, সেটি নকল ওষুধ। নকল ওষুধ তৈরি করে দেশের মানুষের যেমন ক্ষতি করছে, তেমনি দেশের সুনাম নষ্ট করছে প্রতারক ওষুধ তৈরিকারকরা। রোগ মুক্তির পরিবর্তে রোগযুক্ত দেশ উপহার দিচ্ছে নকল ওষুধ প্রস্তুতকারীরা। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দেশের সরকারের জন্য ফরজ হয়ে পড়েছে। অথচ কর্তৃপক্ষ জীবন রক্ষাকারী এই ওষুধের লাইনে তেমন কোন সময় দিচ্ছে না। এখনই সময় বিষ বাষ্পের মতো ছড়িয়ে পড়ার আগে ভেজাল ওষুধ কোম্পানিগুলোকে চিহ্নিত করে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা। অন্যথায় বাংলাদেশকে ভেজাল ওষুধমুক্ত করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে। বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
নকল ওষুধের ব্যাপক বিস্তৃতির পিছনে বড় ভূমিকা আছে ওষুধের দোকানগুলোর। যত্রতত্র গড়ে ওঠা ফার্মাসি বা ওষুধের দোকান বন্ধ করতে হবে। ওষুধ কারা প্রস্তুত করছে ও কারা বিক্রি করছে দু’টোরই সুস্পষ্ট ধারণা নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোর কাছে থাকতে হবে। ফার্মাসিগুলো কাদের কাছ থেকে ওষুধ কিনছে তার জবাবদিহিতা থাকতে হবে। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রি শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। সূত্রঃ জনকণ্ঠ।
নীলফামারী থেকে