লাল মাংসের ক্যানসার ঝুঁকি নিয়ে বিভ্রান্তি

প্রক্রিয়াজাত কিংবা লাল মাংস ক্যানসারের কারণ হতে পারে বলে অনেক আগে থেকেই দাবি করে আসছেন গবেষকেরা। সেই দাবিকে এবার ‘ভুল’ বলেছেন সাত দেশের ১৪ জন ডাক্তার। অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন জার্নালে এ বিষয়ে তারা একটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছেন।

তাদের লেখা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অন্য বিজ্ঞানীরা বলছেন, লাল মাংস আসলেই ক্যানসারের কারণ হতে পারে।

২০১৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানায়, বেকন-সসিজ বা হ্যামের মতো প্রক্রিয়াজাত মাংস ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে।

সঙ্গে এও বলা হয়, ক্যানসার সৃষ্টি করার আশঙ্কা থেকে লাল বা প্রক্রিয়াজাত মাংস একেবারে ছেড়ে দেওয়াটা ঠিক নয়, বরং এসব মাংস খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে।

নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, ক্যানসারের ভয়ে এই মাংস খাওয়া কমানোর দরকার নেই!

ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ অ্যান্ড সোশ্যাল কেয়ারের পরামর্শ অনুযায়ী, যারা এখন ৯০ গ্রাম করে প্রক্রিয়াজাত অথবা লাল মাংস খান, তাদের ৭০ গ্রামে নিয়ে আসা উচিত।

নতুন গবেষণা দলের প্রধান ব্র্যাডলি জনস্টন বলছেন, ‘আগের গবেষণা দেখে আমরা মানুষকে এই ধরনের মাংস খাওয়া কমাতে বলতে পারি না। এ থেকে আসলে ক্যানসার, ডায়াবেটিস কিংবা হার্টের রোগ হয় কি না, সেটি নিশ্চিত নয়।’

ব্র্যাডলিদের দাবি, একজন প্রাপ্ত বয়স্কের প্রতি সপ্তাহে তিন থেকে চারবার মাংস খাওয়া উচিত।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *