একজিমা ত্বকের যে কোনো জায়গায় হতে পারে। এদের মধ্যে হাতের একজিমা প্রধান, যারা খুব পানি ঘাটেন, অনবরত সাবান বা সোডা জাতীয় জিনিসের সংস্পর্শে আসেন সেসব মহিলার হাতে একজিমা হতে পারে। দীর্ঘদিনের একজিমা সারাতে রোগীকে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে হয়।
লক্ষণ : রোগের শুরুতে আঙ্গুল লাল ও শুকনো হয়ে ফেটে ফেটে যায়, হাতের চামড়া থেকে ফোসকা উঠে। অনেক সময় ত্বক ফেটে গিয়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। আঙ্গুলে আংটি থাকলে তার চারপাশে একজিমা প্রকট হয়ে ওঠে। শুধু মহিলা নন, যে পেশায় অনেকক্ষণ পানি ঘাঁটতে হয় বা সাবান দিয়ে বারবার হাত ধুতে হয় সেই পেশার লোকেরাও এ রোগে আক্রান্ত হয়।খাবার থেকে একজিমা : আদা, পেঁয়াজ, টমেটো, গাজর, ডুমুর, কুমড়ো, বেগুন, পেপে থেকেও এ সমস্যা হতে পারে। খাবারের প্রোটিন জাতীয় অংশ প্রায়ই অ্যালার্জির সৃষ্টি করে। যেমন- আলু, গম, চিংড়ি, কাঁকড়া প্রভৃতি। প্লাস্টিক ও নিকেল জাতীয় ধাতব জিনিসের সংস্পর্শ থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে।
একজিমা চিকিৎসা : এ রোগ দীর্ঘমেয়াদে হয়। যেসব কারণে এ রোগ হয় তা থেকে দূরে থাকাই কাম্য, তবে অনেক সময় এটি সম্ভব হয় না। তবে সুচিকিৎসায় এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এ জন্য ক্রনিক বা দীর্ঘদিনের একজিমা সারাতে রোগীকে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে হয়। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা নেওয়া উত্তম।
ডা. দিদারুল আহসান
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, আলরাজী হাসপাতাল, ফার্মগেট, ঢাকা।