প্রেসার হাই হলে আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ি। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শও নেই। কিন্তু প্রেসার লো হলে? এটি এমনই এক সমস্যা, যা কিনা অনেক সময় বুঝতেও পারা যায় না। বিভিন্ন রোগ থেকে লো প্রেসার হতে পারে আবার লো প্রেসার থেকেও শরীরে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। মেডিক্যাল সায়েন্সের ভাষায় যখন সিস্টোলিক ৯০ এর নিচে এবং ডায়াস্টোলিক ৬০ এর নিচে থাকে তখন প্রেসার লো হয়ে যায়।
যেসব রোগ থেকে লো প্রেসার হতে পারে:
* হার্টের রোগ
* অ্যাডিসন্স ডিজিস (অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির সমস্যা)
* ডি-হাইড্রেশন
* অ্যানিমিয়া
* তাপমাত্রার তারতম্যের জন্য
* বেশকিছু ঔষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন হাই প্রেসারের ঔষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় প্রেসার লো হয়ে যেতে পারে।
* কারো কারো নার্ভের সমস্যা থেকে প্রেসার লো হয়ে যেতে পারে।
লো প্রেসার হলে যেসব সমস্যা হতে পারে:
* বসা অবস্থা থেকে হঠাৎ উঠে দাঁড়ালে চোখে অন্ধকার লাগে। কারণ তখন মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বন্ধ থাকে।
* মাথা ঘোরা এবং বমিভাব।
* ইউরিন কমে যাওয়া।
যা করবেন:
* এক গ্লাস পানিতে ২ চা চামচ চিনি ও ১-২ চা চামচ লবণ মিশিয়ে খেয়ে নিন। লবণে সোডিয়াম আছে, কাজেই রক্তচাপ বাড়ায়। তবে ডায়াবেটিস থাকলে চিনি খাবেন না।
* ক্যাফেইন রয়েছে এমন কোনো পানীয় তাড়তাড়ি ব্লাড প্রেসার বাড়ায়। যারা অনেক দিন ধরে এই সমস্যায় ভুগছেন, তারা সকালে ভারী নাস্তার পর ১ কাপ কফি খেতে পারেন।
* বিটের রস হাই ও লো প্রেসারের জন্যই সমান উপকারী। এটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এক সপ্তাহ খেলেই উপকার পাবেন। লো প্রেসারে ৫টি কাঠবাদাম ও ১৫ থেকে ২০টি চিনাবাদামও খেতে পারেন।
* পুদিনা পাতায় রয়েছে ভিটামিন ‘সি’, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও প্যান্টোথেনিক উপাদান যা দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মানসিক অবসাদও দূর করে। পুদিনা পাতা বেটে, মধুর সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন।
* আদিকাল থেকেই যষ্টিমধু বিভিন্ন রোগের মহৌষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এককাপ পানিতে ১০০ গ্রাম যষ্টিমধু মিশিয়ে রেখে দিন। ২-৩ ঘণ্টা পর পানিটুকু খেয়ে নিন। প্রেসার বেড়ে যাবে।