দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসছে নতুন যন্ত্রপাতি, বাড়বে সেবার মান

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবার মান বাড়াতে নানা ধরনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। আসতে শুরু করেছে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি। ক্রমেই রোগীরা হাসপাতালের প্রতি আস্থা ফিরে পেতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে অ্যাম্বুলেন্স।

যে হাসপাতালটি এতদিন নিজেই নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিল, সেটি এখন দক্ষ কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় দামুড়হুদার সদরের অদূরে চিৎলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ২০১৫ সালে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলি আজগার টগরের প্রচেষ্টায় ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। সাড়ে আট কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় চারতলা ভবন। ৫০ শয্যার কার্যক্রম চালু না হলেও প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল বলেন, দামড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনিম লিংকনের প্রচেষ্ঠায় উপজেলা প্রশাসন চিকিৎসা সেবার মান বাড়ানোর লক্ষে ২২ লাখ টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ এক্সরে মেশিন,আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনসহ ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার যন্ত্রপাতি এবং ২৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক নেবুলাইজার মেশিন ও রোগীদের বসার জন্য শেড তৈরি করা হবে। মালামাল এসে গেলে স্বল্পমূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো সম্ভব হবে, রোগীরাও হাসপাতালের প্রতি আস্থা ফিরে পাবে।

ডাক্তার সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, ১৬ জন ডাক্তারের স্থলে ছয়জন ডাক্তার থাকলে ও এর মধ্যে দুইজন প্রেষণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কর্মরত রয়েছে। এখন মাত্র চারজন ডাক্তার দিয়ে চালানো হচ্ছে হাসপাতালটি। তিনি আরো জানান, দ্রুত অপারেশন থিয়েটার চালু করা হবে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু জানান, ৩ লাখ ২৮ হাজার জনসংখার এই উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি এতদিন ছিল রোগী। ছিলনা অ্যাম্বুলেন্স, এক্সরে মেশিনসহ কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি। শুধুমাত্র দামি সরকারি ওষুধ দিয়েই চলতো রোগীদের সেবা। তাই চিকিৎসাসেবার মান বাড়াতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিকে ২২ লাখ টাকার মালামাল ক্রয়ের জন্য প্রকল্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মালামাল আসলেই প্রাণ ফিরে পাবে হাসপাতালটি।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *