ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দন্ত বিভাগের আবাসিক সার্জন ডাঃ একেএম আনিছুর রহমান বাবলুর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ প্রশাসন ও শৃঙ্খলা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব শেখ মুজিবুর রহমান এই মামলাটি করেছেন। গত ২২ আগস্ট দায়ের করা এই বিভাগীয় মামলায় অভিযুক্ত ডেন্টাল সার্জন ডাঃ আনিছকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাওসহ জবাব দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্বাচিপ-এর এক কেন্দ্রীয় নেতাসহ নানা মহলে দৌড়ঝাঁপ করছেন ডাঃ আনিছ।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ প্রশাসন ও শৃঙ্খলা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, একজন চিকিৎসক হয়ে রোগীকে মারধরের ঘটনা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। ঘটনায় দায়ী চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমানকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। প্রয়োজনে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে আরও মামলা হতে পারে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবদুছ সালাম দেশের বাইরে গেছেন। দেশে ফেরার পরই দায়ী ডেন্টাল সার্জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিভাগীয় মামলায় বলা হয়, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দন্ত বহির্বিভাগের আবাসিক সার্জন ডাঃ একেএম আনিছুর রহমান কথা কাটাকাটির জেরে গত ৮ জুলাই হাসপাতালে নিজ চেম্বারে জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা কলেজ ছাত্র তরুন মিয়াকে বেদমভাবে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত করেন। মাথায় সেলাইয়ের পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ঈশ্বরগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের ছাত্র তরুন মিয়াকে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।
এছাড়া স্বাচিপ ঘনিষ্ঠ ক্ষমতাধর সার্জন ডাঃ আনিছ বিভিন্ন সময়ে উর্ধতন কর্মকর্তা ও সহকর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণ করে আসছিলেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। সূত্রঃ জনকণ্ঠ।