নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের ব্যবহৃত স্যালাইন, সিরিঞ্জ, রক্তমাখা গজ-ব্যান্ডেজ উন্মুক্ত স্থানে যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে। অথচ গত এক যুগ আগে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বর্জ্য ধ্বংসের ঘর (পিট বার্ন) তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু পিট বার্ন ব্যবহার না করায় বর্জ্যগুলো উন্মুক্তস্থানেই ফেলে রাখা হয়েছে। খবর জনকণ্ঠের।
হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, টিকাদান কর্মসূচীতে (ইপিআই) বছরে তিন লক্ষাধিক সিরিঞ্জ ব্যবহার হয়ে থাকে। সেই হিসেবে প্রতিসপ্তাহে কয়েক হাজার ব্যবহৃত সিরিঞ্জ ইপিআই কার্যালয়ে জমা হওয়ার কথা। সেই কার্যালয়ে গেলে কর্মকর্তা (মেডিক্যাল এ্যাসিস্ট্যান্ট) আবদুর রাশিদ ভূইয়া দাবি করেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ঘরে নিয়মিত ব্যবহৃত সিরিঞ্জ পোড়ানো হয়। তবে শেষ কবে সিরিঞ্জ পোড়ানো হয়েছিল তা তিনি বলতে পারেননি। ব্যবহৃত সিরিঞ্জ ধ্বংস করার আগে কোথায় রাখা হয় দেখতে চাইলে তিনি ছোট আকারের একটি কাগজের ছোট বাক্স (প্যাকেট) বের করে দেখান। সেই বাক্সটি বর্জ্য সংরক্ষণের কি না তা লেখা ছিল না। আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর আঙিনার পশ্চিম-দক্ষিণ কোণে একটি ঘর রয়েছে(পিট বার্ন)। সেখানে থাকা চুল্লিতে কঠিন বর্জ্য আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। কিন্তু ঘরটিতে গিয়ে তালা বন্ধ অবস্থায় দেখা যায়। ভেতরে ময়লা-আবর্জনায় ভরা রয়েছে। চারপাশে মানুষের বিষ্ঠা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে দেখা গেল একটি গর্তে ইনজেকশনের কিছু ভায়াল পড়ে রয়েছে। কিন্তু সিরিঞ্জ নেই। আগুন দিয়ে বর্জ্য পোড়ানোর কোন চিহ্ন সেখানে দেখা যায়নি। এই বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ কাজী এনামুল হক বলেন, কয়মাস হলো তিনি এখানে যোগদান করেছেন। ওই সময়ের মধ্যে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো হয়নি। তবে রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহারের পর বর্জ্যগুলো মাটির নিচে পুতে ফেলার নির্দেশ দেয়া রয়েছে।