আদার রয়েছে অনেক গুণ। নানাবিধ অসুখ থেকে আরোগ্য লাভ করার সুযোগ রয়েছে এর মাধ্যমে। রোগ প্রতিরোধে আদার গুণাবলি তুলে ধরা হলো।
পুরানো আমাশয়- বহুদিনের আমাশয়ে যারা ভুগছেন, কিছুতেই সারছে না, এক্ষেত্রে আদাকে শুকিয়ে গুঁড়ো করে, এক গ্রাম পরিমাণ গুঁড়ো হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে। তবে নিয়মিত খাওয়া দরকার। এতে আম পরিপাক হবে এবং আমাশয় কমে যাবে।মাড়ি ফুলে গেলে -দাঁতের গোড়ায় যন্ত্রণা এবং মাড়ি ফুলে গেলে, আধা কাপ হালকা গরম পানিতে দুচামচ কাঁচা আদার রস মিশিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মুখে রাখতে হবে। দিনে দুবার করে তিন দিন প্রয়োগ করলে মাড়ি ফূলা এবং যন্ত্রণা দুই-ই কমবে।
পেটে বায়ু জমলে অনেক সময় সে বায়ু ওপরদিকে উঠে আসে ফলে বুকে যন্ত্রণা বা অবিরাম হিক্কা হতে থাকে। আধা কাপ পারিমাণ ছাগলের দুধের সঙ্গে আধা চামচ আদার রস মিশিয়ে খেলে হিক্কা কমে যাবে।
রক্তপাত বন্ধ করতে হবে- শরীরের কোথাও অনেকটা কেটে গেলে কিংবা রক্তপাত বন্ধ হচ্ছে না, এ সময় খানিকটা শুকানো আদার গুড়ো নিয়ে কাটা স্থানে চেপে ধরলে রক্তপাত বন্ধ হবে এবং কাটা স্থানটি তাড়াতাড়ি জোড়া লাগতে সাহার্য করবে।
সর্দি জ্বর- হঠাৎ সর্দি হয়েছে নাক দিয়ে পানি পড়ছে কিংবা অল্প অল্প শীত করছে জ্বর ভাব রয়েছে সেক্ষেত্রে দুই চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ আদার রস মিশিয়ে দিনে দুবার দুই দিন খেলে অবশ্যই উপকার হবে।
বসন্ত রোগে- বসন্তের গুটি বের হচ্ছে না, গুটি তাড়াতাড়ি বের হওয়া দরকার, এ অবস্থায় আদা খুবই ফলদায়ক। এক চামচ কাঁচা আদার রসের সঙ্গে সমপরিমাণ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেলে গুটি তারাতারি বেরিয়ে যাবে।
ক্ষিদে বাড়াতে- কিছুই খেতে ইচ্ছে হয় না, অর্থাৎ ক্ষুধা মন্দা এবং খুখে অরুচি, দুপুরে খাবার আগে সৈন্ধব লবন দিয়ে একটু আদা খেতে হবে। এতে ক্ষিধে বাড়বে এবং মুখের রুচিও ফিরে আসবে।
পাকস্থলী ও হজমশক্তি বৃদ্ধিতে- দুই থেকে তিন গ্রাম পরিমাণ কাঁচা আদার সঙ্গে সামান্য পরিমাণ বিট লবন মিশিয়ে আহারের পর দিনে দুবার সেব্য। ১৫-২০ দিন নিয়মিত সেবন করে যাওয়া আবশ্যক।
কাশি ও স্বর পরিস্কারে- আদার রস এক চা চামচ, তুলসি পাতার রস এক চামচ, মধু দুই চামচ একত্রে মিশিয়ে প্রত্যহ দুই থেকে তিন বার সেব্য। সাত থেকে ১০ দিন সেবন করে যাওয়া আবশ্যক।