দেশের সার্বিক ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত রয়েছে। শনিবার পর্যন্ত দেশের আটটি জেলা ডেঙ্গু রোগীমুক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৯৮ শতাংশে পৌঁছেছে। তবে রাজধানীর তুলনায় ঢাকার বাইরে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ রয়ে গেছে। শনিবারও সারাদেশে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ২২৫২ ডেঙ্গু রোগী। রাজধানীতে নতুন ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা অনেক হ্রাস পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুর, বরিশাল ও কুষ্টিয়ায় একজন করে তিন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সরকারী হিসেবে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৬৮ হলেও বেসরকারী পরিসংখ্যানে তা দুই শতাধিক। খবর জনকণ্ঠের।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা যথাক্রমে ৪০৮ । এদের মধ্যে ঢাকায় নতুন ভর্তি ১৩৫ এবং ঢাকার বাইরে ২৭৩। সারাদেশে বর্তমানে ভর্তি ডেঙ্গু ও সন্দেহজনক ডেঙ্গু রোগীর সর্বমোট সংখ্যা ২২৫২ জন। ঢাকা মহানগরীতে বর্তমানে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৯১৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ১৩৩৫ জন। এ বছর জানুয়ারি থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সর্বমোট ভর্তি ও ছাড়প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা যথাক্রমে ৮৪৩৯৭ জন ও ৮১৯৪২ জন। সারাদেশে এ পর্যন্ত মোট রোগীর ৯৮ শতাংশ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। রোগতত্ত্ব , রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ডেঙ্গু সন্দেহে ২০৩ জনের মৃত্যুর তথ্য প্রেরিত হয়েছে। তাদের মধ্যে আইইডিসিআর ১১৬ জনের মৃত্যু পর্যালোচনা সমাপ্ত করে ৬৮ জনের মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম আরও জানায়, বর্তমানে ঢাকা শহর ব্যতীত ঢাকা বিভাগে ২৯৯ জন, চট্টগ্রামে বিভাগে ১৬৮ জন, খুলনা বিভাগে ৫০০ জন, রংপুর বিভাগে ৩৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ১০১ জন, বরিশালের ৬ জেলায় ১৮৭ জন এবং সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় ১২ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের চারটি জেলায় ৩২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সূত্রটি আরও জানায়, ঢাকা শহরে অবস্থিত হাসপাতালগুলোর মধ্যে বর্তামানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২০৯ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ১৬৭ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৩০ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ১০৩ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪২ জন, রাজারবাগের পুলিশ হাসপাতালে ১৩ জন, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৮০ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৫২ জন এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৫৮ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।