স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন (কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট) নিশ্চিত করতে হবে। রোগীর কী রোগ হয়েছে, কী ধরনের চিকিৎসা করা হচ্ছে, কী ওষুধ দেওয়া হচ্ছে ইত্যাদি তথ্য বিস্তারিতভাবে রোগী বা তাদের স্বজনদের জানাতে হবে। ন্যাশনাল পেশেন্ট সেফটি গাইডলাইন অনুযায়ী রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের কনফারেন্স রুমে ‘ওয়ার্ল্ড পেশেন্ট সেফটি ডে’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সভার সঞ্চালনা করেন পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আমিনুল হাসান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- সোসাইটি অব সার্জারির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবুল বাশার মো. খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল প্রাক্টিশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. জামালউদ্দিন চৌধুরী, প্রাক্তন মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল ফয়েজ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা প্রমুখ।
সভায় জানানো হয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এইবারই প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে ‘ওয়ার্ল্ড পেশেন্ট সেফটি ডে’ পালিত হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘আসুন রোগীর নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলি’। একজন রোগী সে ধনী হোক বা দরিদ্র হোক, তার সুচিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। টাকার অভাবে যেন কোন রোগী বিনা চিকিৎসায় কষ্ট না পায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। সুচিকিৎসা রোগীর জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারে।
পাশপাশি রোগ ও চিকিৎসা সম্পর্কেও রোগীর জানার অধিকার রয়েছে। চিকিৎসকদের সেই দায়িত্বও পালন করতে হবে। এছাড়া চিকিৎসকরা প্রত্যেক রোগীকে চিকিৎসা প্রদানের আগে যেন সঠিক উপায়ে হাত পরিষ্কার করে নেন সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সূত্রঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম