দেশের চার বিভাগে মশা জরিপ কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। ঢাকা, বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগে এ জরিপ চালানো হবে। ২১ সেপ্টেম্বর বরিশাল বিভাগে জরিপের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক সানিয়া তহমিনা জানান, রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে মশার প্রজাতি শনাক্ত করতে এবং দেশব্যাপী মশক নিয়ন্ত্রণে সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে এ জরিপ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মোট আটটি দল এ জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। বিভিন্ন জেলার কোথায় কোথায় জরিপ পরিচালিত হবে তা চূড়ান্ত করতে বর্তমানে কার্যক্রম চলছে বলে তিনি জানান।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, গত বছর পর্যন্ত রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা মূলত ঢাকা শহরে বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে ও পরে এবং বর্ষা মৌসুমে মোট তিনটি জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করত। তবে এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হওয়ায় আগেভাগেই জুলাই মাসে ঢাকা শহরে দ্রুত একটি জরিপ করে রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা।
চলতি বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ শুধুমাত্র ঢাকা শহরে সীমাবদ্ধ নেই জানিয়ে তারা আরও বলেন, দেশের ৬৪ জেলায় ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত চলতি বছর প্রায় ৮২ হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। সরকারি হিসাবে মৃত্যু ৬৮ জন বলা হলেও বেসরকারি হিসেবে দুইশোর অধিক।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ডেঙ্গুর প্রকোপ এখন আর রাজধানীতে সীমাবদ্ধ নেই, সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে মশক নিধন কার্যক্রম সারাদেশেই পরিচালনা করতে হবে। কিন্তু তার আগে দেশের কোন এলাকায় মশার প্রকোপ বেশি, কী কী ধরনের মশা রয়েছে-এসব বিষয়ে সুস্পষ্ট ও সঠিক পরিসংখ্যান থাকলে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা সহজ ও সুষ্ঠু হবে।’