সেদ্ধ কিংবা ঝলসানো- একটু লবণ আর লেবু মিশিয়ে খেতে দারুণ লাগে ভুট্টা। আবার ব্যস্ত সময়ের মাঝে বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবারের চেয়ে বরং ভুট্টা কিনে খাওয়াই বেশি উপকারী। ভুট্টায় এমনসব উপাদান রয়েছে, যা আপনার হার্ট, ত্বক, হাড় সবকিছুরই খেয়াল রাখে। ভুট্টায় থাকা ফাইবার, ফেরুলিক অ্যাসিড, ক্যারোটিন সহ নানা উপাদান আমাদের পুষ্টিগুণ বাড়াতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: ভুট্টায় থাকা ফেরুলিক অ্যাসিডের মতো যৌগ ব্রেস্ট এবং লিভারে থাকা টিউমারের সাইজ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভানয়েড থাকে ভুট্টায়। যা ক্যান্সারের কোষগুলোকে বাড়তে দেয় না।
গর্ভবতীদের জন্য উপকারী: মায়ের পেটের ভেতরে যখন সন্তান বাড়তে থাকে, তখন তার যথেষ্ট পুষ্টির দরকার হয়। ভুট্টায় থাকে ফলিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিড গর্ভস্থ সন্তানের বেড়ে ওঠা এবং পুষ্টির জন্য ভীষণভাবে জরুরি।
কোলেস্টরল কমায়: ভুট্টায় ভিটামিন সি, বায়োফ্ল্যাভনয়েড, ক্যারটিনয়েড, ফাইবার থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। কোলেস্টরল যেখানে আমাদের নিত্যসঙ্গী, সেখানে ভুট্টায় থাকা এই জিনিসগুলো কোলেস্টরল কমাতে সাহায্য করে। ফলে আমাদের শিরা-ধমনীও থাকে ঝঞ্ঝাটমুক্ত। স্বাভাবিকভাবেই হার্টের সমস্যাও অনেকটাই কম হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: ভুট্টায় থাকা ফাইবার সহজেই সমাধান দিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার। অনেক সময়েই আমাদের পায়ুনালী এবং অন্ত্র রোজ সঠিকভাবে পরিষ্কার হয় না, কিন্তু ভুট্টায় থাকা ফাইবার দায়িত্ব নিয়ে এই কাজটা করে দেয়। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে ভুট্টা খেতে পারেন।
ত্বক সুন্দর করে: বয়স যতই বাড়ুক, চামড়া থাকবে টানটান। কে না চায়? ভুট্টায় ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে অনেকটাই। এই প্রতিটা জিনিসই চামড়া টানটান করে রাখে। তাই বলিরেখার যে সমস্যা ৩০-৪০ বছরে শুরু হয়, তা ভুট্টা খেলে অনেকটাই আয়ত্তে রাখা সম্ভব হয়।
শক্তিশালী করে: যারা অনেক কিছু খেয়েও কিছুতেই তালপাতার সেপাই থেকে উন্নীত হতে পারছেন না, তারা ভুট্টায় ভরসা রাখুন। এতে থাকা যথেষ্ট পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালোরি আপনাকে শক্তিশালী করে তুলবে।
হাড় শক্ত করে: জিঙ্ক, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন থাকে ভুট্টায়। তাই ভুট্টা যত খাবেন, এই মিনারেলগুলো আপনার শরীরে পৌঁছে যাবে। আর এগুলোই আপনার আর্থ্রাইটিসের ব্যথা অনেকটা কমিয়ে দিতে পারে।