অনেকে ডায়েট করতে গিয়ে খাবারের অভ্যাসে বদল ঘটান। এতে তালিকা থেকে অনেক সময় বাদ পড়ে যায় পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার। যা উল্টো ফলও বয়ে আনতে পারে। দেখা গেলো ওজন কমলো ঠিকই কিন্তু আপনি রোগা হয়ে গেলেন! যা আপনাকে পরবর্তীতে বিপদে ফেলতে পারে! এ জন্য ডায়েট চার্টে রাখা চাই প্রয়োজনীয় পুষ্টিসম্পন্ন খাবার। এক্ষেত্রে অ্যালমন্ড বাদামই দিতে পারে আপনাকে প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান।
বলা হয়ে থাকে অ্যালমন্ড প্রয়োজনীয় পুষ্টির অফুরন্ত ভাণ্ডার। এটা প্রতিদিন সকালে খাওয়া মস্তিস্কের জন্য বেশ উপকারী। একইসঙ্গে নানা মজাদার শেক, জুসি সালাদ বা ডেজার্ট যাই-ই বলুন না কেন এসবে অ্যালমন্ড দেওয়া হলে তা হয়ে উঠে আরও বেশি সুস্বাদু। গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যালমন্ড বাদাম পেটের পেশিগুলোয় চর্বি শোষণ কমিয়ে দেয় এবং আগের চর্বিগুলোকে দূর করে।
অ্যালমন্ডের উপকারিতা
অ্যালমন্ড একটি প্রোটিনযুক্ত খাবার, যা শরীরে প্রচুর পরিমাণে শক্তি সরবরাহ করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এটি হজমশক্তি বাড়ায় ও ওজন কমাতে সহয়তা করে। এতে ভিটামিন ই ও ওমেগা-৩, ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা দূষিত কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
ভারতের দিল্লির ওয়েট ম্যানেজমেন্ট এক্সপার্ট ডা. গার্গী শর্মার মতে, এ বাদাম শরীরের জন্য খুবই ভালো এবং হজমের জন্য সত্যিকার অর্থে বেশ উপকারী।এর উপকারিতসমূহ-
১. মস্তিষ্ক, কার্ডিওভাসকুলার এবং শ্বাসযন্ত্রের ওপর প্রভাব
ডি কে পাবলিশিং হাউজের হিলিং ফুডস বইয়ের তথ্য অনুযায়ী, এতে খনিজ, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং ভিটামিন-ই এর উপস্থিতি রয়েছে। যা মস্তিষ্ক, কার্ডিওভাসকুলার এবং শ্বাসযন্ত্রের জন্য বেশ উপকারী।
২. রক্তে সুগারের লেভেল নিয়ন্ত্রণ
এটি রক্তে সুগারের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
৩. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
অ্যালমন্ডের ফাইবার শরীরে কার্বোহাইড্রেট শোষণের গতি কমায়। ফলে ডায়াবেটিসের জন্য এটি উপকারী।
৪. ওজন কমাতে সহায়তা করে
অ্যালমন্ড বাদামে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে। এছাড়াও এর স্বাদ দীর্ঘক্ষণ মুখে লেগে থাকে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এর মধ্যে থাকা ফাইবার হজমে সহায়তা করে। যা ওজন কমানোর মূল বিষয়।