চলতি বছরের আগস্ট মাসে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে কমসংখ্যক রোগী ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। রোগীর সংখ্যা ৬০৭ জন। চলতি বছর এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭৬ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। সংখ্যা কমে এলেও মৃত্যু থেমে নেই। আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১৯৯ জনে দাঁড়াল। তবে সরকারিভাবে ৫৭ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়ে ৬০৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ২৩৩ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৭৪ জন। চলতি মাসের ১ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যথাক্রমে ৯০২ জন, ৮৬৫ জন, ৭৮৩ জন, ৮২০ জন, ৭৮৮ জন ও ৭৯৩ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। চলতি বছর এ পর্যন্ত ৭৫ হাজার ৭৫৩ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭২ হাজার ১৪৪ জন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন। দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে তিন হাজার ৪৪৭ জন রোগী ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে রাজধানীর ৪১ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে এক হাজার ৭১৯ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভাগীয় ও জেলা সদর হাসপাতালে এক হাজার ৭২৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তবে ঢাকার বাইরে নতুন রোগী এখনও বেশি ভর্তি হচ্ছেন। ঈদের আগে থেকে ঢাকার বাইরে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে তা।
শুক্রবার মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রুবাইয়া আক্তার নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। রুবাইয়া শিবালয় উপজেলার রূপসা ওয়াহেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
মৃতের মামা ইউনুস আলী জানান, জ্বরে আক্রান্ত রুবাইয়াকে গত বৃহস্পতিবার শিবালয় উপজেলার উথলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় পার্শ্ববর্তী টেপরায় বেসরকারি আলশেফা প্যাথলজি সেন্টারে রক্ত পরীক্ষা করা হয় তার। এতে তার ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শুক্রবার দুপুরে মানিকগঞ্জ আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে স্যালাইন ও ইনজেকশন দেওয়া হয়। পরে রেফার করা হয় রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে শয্যা না পেয়ে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় রুবাইয়ার।