সম্প্রতি অফিসের ডেস্কে বসে কাজ করার সময় এক নারীর মৃত্যুর ঘটনা আমাদের ভাবতে বাধ্য করেছে। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে বা হার্ট অ্যাটাক করলে সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার মতো প্রশিক্ষণও আমাদের নেই।
অথচ মিনিমাম জীবনরক্ষার উপায় জানা থাকলে নিজের সঙ্গে সঙ্গে অন্যের জীবনের জন্যও এটা আশির্বাদ হতে পারে। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা দিতে পারলে, লাভ করতে পারেন নতুন জীবন।
আর এজন্য প্রয়োজন হার্ট অ্যাটাকের পর দ্রুত কার্ডিয়াক পালমোনারি রিসাসসিটেশন (সিপিআর) প্রয়োগ করা। শুধু স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যই নয় সাধারণ মানুষও এ পদ্ধতি জেনে রাখতে পারেন।
সিপিআর দেয়ার নিয়ম
• প্রথমে রোগীকে চিৎ করে শোয়াতে হবে। তারপর, রোগীর পালস আছে কি না এবং শ্বাস নিচ্ছে কি না তা দেখতে হবে
• একটি হাত প্রসারিত করে অন্য হাতের আঙুল দিয়ে লক তৈরি করতে হবে। হাতের তালুর উঁচু অংশটি বুকের পাজরের নিচের অংশে ঠিক মাঝ বরাবর স্থাপন করতে হবে
• প্রতি সেকেন্ডে ২ বার করে জোরে জোরে চাপ দিতে হবে। তবে, খেয়াল রাখতে হবে দুই হাত যেন ভাঁজ না হয়। এমনভাবে চাপ দিতে হবে যেন দেড় থেকে ২ ইঞ্চি দেবে যায়
• এভাবে ৩০বার চাপ দেয়ার পর, রোগীর কপাল এবং থুতনিতে হাত দিয়ে মুখটি খুলতে হবে। এরপর মুখ দিয়ে মুখে জোরে জোরে দু’বার শ্বাস দিতে হবে।
• আবার সেই একই পদ্ধতি অনুসরণ করে ৩০ বার বুকে চাপ দিয়ে দু’বার শ্বাস
• এ পদ্ধতি কাজে দিলেও, এজন্য খুব বেশি সময় ব্যয় করা যাবে না, কয়েক মিনিটের মধ্যে রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে।
এজন্য প্রতিটি অফিসে, গাড়িতে ও বাড়িতে জরুরি সেবা পাওয়া যায়, এমন ফোন নাম্বারগুলো সবার চোখের সামনে একটি কাগজে লিখে টানিয়ে দিতে হবে।