মশা মারতে যেমন কামান দাগাতে হয় না, তেমনি দাঁত সাদা করার জন্য রাসায়নিক ব্যবহার না করে সমাধান খুঁজতে পারেন প্রাকৃতিক উপাদানে। দাঁতের ক্ষতি না করে দাঁতের সৌন্দর্য বাড়ানোর সহজাত কিছু কৌশল আজ জেনে নেওয়া যাক।
লেবু
লেবুর শক্তিতে দূর হয় দাঁতের কালো দাগ। লেবুতে থাকা উপাদানগুলো দাঁত পরিষ্কার রাখতে পারে। সাদা দাঁত পেতে এক টুকরো লেবু নিয়ে তিন থেকে পাঁচ মিনিট দাঁত ঘষলে দাঁতের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
কলা
কলায় শুধু ক্যালরি থাকে না, আছে আরও কিছু গুণ। কলা খাওয়ার পরে খোসাটা না ফেলে দাঁত সাদা কারার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।। কলার খোসার ভেতর দিকের অংশ দাঁতে ঘষলে দাঁত সাদা হবে।
স্ট্রবেরি
স্ট্রবেরিতে ম্যালিক অ্যাসিড নামে একধরনের এনজাইম আছে, যা দাঁতের হলদেটে ভাব দূর করতে পারে। নিয়মিত স্ট্রবেরি খেলে দাঁত সাদা হবে।
নারকেল তেল
মুখে নারকেল তেল নিয়ে কুলি করে ফেলে দিন। মুখ ধুয়ে ব্রাশ করে ফেলুন। প্রতিদিন একবার ব্যবহারে দাঁত সাদা হবে।
মাশরুম
এতে থাকে জীবাণু প্রতিরোধী উপাদান। নিয়মিত মাশরুম খেলে মুখের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয় এবং দাঁতে ডেন্টাল প্লাক হতে বাধা দেয়, ফলে দাঁত থাকে সাদা।
বেকিং সোডা
বেকিং সোডা শুধু খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতিতে ব্যবহার হয় না, দাঁত মাজার কাজেও ব্যবহার করতে পারেন। বেকিং সোডা ব্রাশে মেখে সকালে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁত সাদা হবে।
গ্রিন–টি
দুধ–চা দাঁতে দাগ ফেলে দেয়। অন্যদিকে গ্রিন–টিতে থাকে প্রচুর ফ্লোরাইড, যেটি দাঁতে হলুদ রং পড়তে বাধা দেয় এবং দাঁতকে সাদা করে।
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার
অ্যাপল সিডার ভিনেগারে থাকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসের উপাদান। এটি দাঁতের ভেতরের অংশ থেকে ব্যাকটেরিয়া দূর করে দাঁতকে পরিষ্কার ও উজ্জ্বল রাখে।
কয়লা
দাঁত পরিষ্কারের জন্য প্রাচীনকালে কয়লা ব্যবহার হতো। কয়লা দাঁততে সাদা করতে সক্ষম। দাঁত মাজার জন্য কয়লা এখন সহজলভ্য না হলেও কয়লার উপাদানসমৃদ্ধ পেস্ট পাওয়া যায় বাজারে।
লবণ
দাঁতের লাবণ্য বাড়াতে ব্যবহার করতে পারেন লবণ। দাঁত ব্রাশ কারার পর লবণ দিয়ে আরেকবার ব্রাশ করে নিলে দাঁত হবে সাদা। অনেক টুথপেস্টে এখন লবণ ব্যবহৃত হয়, দাঁতা সাদা করার প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে। তবে যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ আছে, তাঁদের লবণ ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে।
লেখক: দন্ত্য চিকিৎসক