অম্বল বা অ্যাসিডিটি থেকে পেট-বুকের জ্বালাভাব দূর করতে আদা, লেবু কিংবা মধু বেশ কার্যকর।
খাবারে অনিয়ম, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া বা খাবার ঠিক মতো হজম না হলে ‘গ্যাস্ট্রিক ফ্লুইড’ বা পাচক রস খাদ্যনালী দিয়ে উপরে উঠে আসে। যেখান থেকে পেটে সমস্যা, গলা-বুকে জ্বালাভাবে তৈরি হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় অ্যাসিড রিফ্লাক্স।
খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে কয়েকটি খাবারের তালিকা এখানে দেওয়া হল যা অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা অম্বর সারাতে সাহায্য করে।
আদা: এটা অ্যাসিড দূর করতে সহায়ক। আদা চকলেটের মতো চুষে খেতে পারেন। অথবা গরম পানিতে আদার গুঁড়া মিশিয়ে বা তাজা আদার টুকরা পানিতে ফুটিয়ে পান করা যেতে পারে। এমনকি খাবারেও আদা দিয়ে খেতে পারেন। গর্ভবতী হয়ে থাকলে বা রক্ত চাপ কম থাকলে পরিমিত পরিমাণে আদা খাওয়া উচিত। দিনে এক গ্রাম আদা খাওয়াই যথেষ্ট।
লেবু: লেবু অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করে, শরীরের পিএইচ’য়ের ভারসাম্য বজায় রাখে। পুষ্টিকর অ্যাসিড পেটে বাইকার্বোনেট সৃষ্টি করে যার ফলে পাকস্থলী থেকে অ্যাসিড দূর হয়। এজন্য লেবু নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
উচ্চ রক্তচাপ না থাকলে লেবু টুকরা করে কেটে লবণ দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এট তাৎক্ষনিক স্বস্তি দেবে। তাছাড়া এক কাপ পানিতে বা সোডার মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে পান করা যেতে পারে। লেবু ছাড়াও অন্যান্য সিট্রাস বা টক ফল যেমন- আঙ্গুর, কমলা এমনকি কিউই ফলও সমান উপকার করে।
ডিমের সাদা অংশ: এর ভিটামিন বি সিক্স শরীরের কিছু অ্যামিনো অ্যাসিড বিপাকে সাহায্য করে যা অ্যাসিড কমায়। ভিটামিন বি সিক্স সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে ডিমের সাদা অংশ সেরা। এছাড়াও মটর, ছোলা, বিট, কটিজ পনির, কলা ও মাছ ইত্যাদিতে ভিটামিন বি সিক্স পাওয়া যায়।
মনে রাখতে হবে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের পাশপাশি কম কার্বোহাইড্রেইট যুক্ত খাবার অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
মধু: এতে রয়েছে ব্যাক্টেরিয়া ও ফাঙ্গাস রোধী প্রাকৃতিক উপাদান। যা হজম পক্রিয়াতে সাহায্য করে, ব্যাক্টেরিয়া ধবংস করে। এটা পেটের নানান সমস্যা যেমন- আলসার থেকে দূরে রাখে এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা কমায়।