ওষুধ প্রস্ততকারক কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনকে প্রায় ৪৮৬২ কোটি টাকা (৫৭ কোটি ২০ লাখ ডলার) জরিমানা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের এক আদালত। এই অর্থ তাদেরকে অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে। আফিম জাতীয় মাদকাসক্তিকে উৎসাহিত করার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এমন রায় দিয়েছেন ওকলাহোমার নরম্যানে অবস্থিত ক্লিভল্যান্ড কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক থাড বলকম্যান। রায়ের পর পরই ওই কোম্পানি থেকে বলা হয়েছে, তারা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
আফিম জাতীয় মাদক তৈরিকারী ও বিতরণকারীদের বিরুদ্ধে এমন হাজার হাজার মামলা আছে। তার মধ্যে এই মামলাটি প্রথম বিচারে উঠেছে। এ বছরের শুরুর দিকে ‘অক্সিকন্টিন’ প্রস্তুতকারক পারদু ফার্মার সঙ্গে ২৭ কোটি ডলার, টেভা ফার্মাসিউটিক্যালের সঙ্গে ৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বিনিময়ে সমস্যা মিটিয়ে ফেলে ওকলাহোমা রাজ্য। কিন্তু বিচারের কাঠগড়ায় রয়ে যায় জনসন অ্যান্ড জনসন।
বিচারক থাড বলেছেন, প্রসিকিউটররা এমন তথ্য তুলে ধরেছেন যে, উচ্চ মাত্রার আসক্তি সৃষ্টিকারী বেদনানাশক অনুমোদন করে জনগণের ক্ষতিতে ভূমিকা রেখেছে জনসন অ্যান্ড জনসন। এতে ওকলাহোমার হাজার হাজার মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ছে। এ সংকট অত্যাসন্ন এক বিপদ। ফলে ওই কোম্পানিকে যে জরিমানা করা হয়েছে তা আসক্তদের যতœ ও চিকিৎসায় ব্যয় করা হবে।
ওকলাহোমায় এই মাদকের নাম অপিয়ড। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় ২০০০ মামলার বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। যদি এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো সমস্যা মিটিয়ে না ফেলে তাহলে তা ওহাইওতে বিচারে উঠবে অক্টোবরে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে, ১৯৯৯ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে অতিমাত্রায় অপিয়ড ব্যবহারের কারণে চার লাখ মানুষ মারা গেছে। ২০০০ সাল থেকে ওকলাহোমায় অতিমাত্রায় অপিয়ড ব্যবহারে মারা গেছে ৬ হাজার মানুষ।