বিশৃঙ্খল জীবনযাপন রোগবালাই ডেকে আনে। কাজেই রোজকার রুটিন হওয়া চাই স্বাস্থ্যকর। চাইলেই দৈনন্দিন জীবনকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা যায়। কীভাবে?
• ব্যায়াম দিয়ে দিনটা শুরু করুন। হাঁটা খুবই ভালো ব্যায়াম। হাঁটতে হলে উঠে পড়ুন সকাল সকাল। ভোরে উঠলে হাঁটাহাটি করার বেশ সময় পাওয়া যায়। তাজা বাতাসও পাওয়া যায়। নিয়মিত হাঁটলে মেদ কমে, ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়ে, আর মন্দ কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমে। ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। পেশির শক্তি বাড়ে। শরীরের ওজন ঠিক থাকে। হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়ে। বিষণ্নতা প্রতিরোধ ও চিকিৎসায়ও হাঁটা উপকারী।
• গোসল করুন নিয়মিত। হালকা গরম পানিতে গোসল করলে বাতের ব্যথা উপশম হয়। অস্থিসন্ধির ব্যথা কমে, প্রদাহ কমে। পিঠের ও হাঁটুর ব্যথা ভালো হয়। গরম পানির ভাপে বন্ধ নাক খোলে, শ্বাসনালিতেও আরাম হয়। গরম পানির গোসলে সাইনোসাইটিসে উপকার পাওয়া যায়। উপকার পাওয়া যায় শ্বাসকষ্টে বা হাঁপানিতেও।
• সকালের নাশতা কখনো বাদ দেবেন না। সকালবেলা পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খেলে তা সারা দিন শরীরকে কর্মক্ষম রাখে। সকালের নাশতায় পরিমিত শর্করা, আমিষ, ভিটামিন ও খনিজ দ্রব্যের সমাহার থাকা চাই। প্রচুর পানিও পান করুন সকালে। দেরিতে ঘুম থেকে উঠলে নাশতা খেতে দেরি হয়, বিপাকক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। ফলে ক্লান্ত ও দুর্বল লাগে।
• দুপুরে সময়মতো খান। দুপুরে পেট ভরে খেলে রাতের খাবার একটু কম হওয়াই ভালো। আবার যাঁরা দুপুরে হালকা খান, তাঁদের রাতের খাবার ভালো হতে পারে। দুপরে খাওয়ার পর একটু বিশ্রাম আর রাতে খাওয়ার পরে একটু হাঁটাহাঁটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। দিনে কয়েক কাপ রং চা পান করা খারাপ নয়। চা শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের জোগান দেয়। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফলমূল থাকা চাই।
• রাতে পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। অন্তত ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমান। রাতে খাওয়ার পরপরই ঘুমাতে যাওয়া ঠিক নয়। তাই খাওয়া একটু আগে সেরে ফেলা ভালো। খুব দেরিতেও ঘুমাতে যাবেন না। ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করে নিন। বই পড়তে পারেন বা গান শুনতে পারেন। তবে ঘুমানোর আগে মুঠোফোন, টিভি, কম্পিউটার ব্যবহার না করাই ভালো। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।