বিশ্বে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই এই জটিল ও ব্যয়বহুল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। হার্ট এ্যাটাকের রোগীদের প্রথম নির্দেশনা হিসেবে রেডিয়াল এনজিওপ্লাস্টি করানোর পরামর্শ দিয়েছে ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজি (ইএসসি)। সোসাইটির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা দাবি করেন, হৃদরোগ নির্ণয়ে বিশ্বের জনপ্রিয় পদ্ধতি হল ‘রেডিয়াল এনজিওগ্রাম’ যা হাতের কবজির সামান্য উপরে ছোট ছিদ্র করে করা হয়।
আমেরিকায় ৭০ ভাগ, যুক্তরাজ্যে ৯০ ভাগ, ইউরোপে ৬০-৭০ ভাগ এনজিওগ্রাম ও এনজিওপ্লাস্টি করা হয় রেডিয়াল পদ্ধতিতে। রেডিয়াল পদ্ধতি অনেক সহজ। এর মাধ্যমে সময় ও খরচ অনেক কম লাগে। হার্ট এ্যাটাকের পর রেডিয়াল এনজিওপ্লাস্টিতে মৃত্যুর হারও অনেক কম। রেডিয়াল এনজিওগ্রাম জনপ্রিয় করতে বাংলাদেশ রেডিয়াল ইন্টারভেনশন কোর্সের (বিআরআইসি) আয়োজনে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এসব কথা বলেন। স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব) ডাঃ আবদুল মালিক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম ও বাংলাদেশ সোসাইটি অব কার্ডিওলজির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ একেএম মহিবুল্লাহ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআরআইসি কোর্স ডিরেক্টর অধ্যাপক ডাঃ মীর জামাল উদ্দিন। আলোচকরা বলেন, রেডিয়াল এনজিওগ্রামের জন্য মাত্র ৪ ঘণ্টা হাসপাতালে অবস্থান করতে হয়।
এমনকি এনজিওপ্লাস্টি করে কোন ক্ষেত্রে একদিনেই রোগীকে বাড়িতে পাঠানো যায়। অল্প সময়ের মধ্যে রোগী দ্রুত চলাফেরা করতে পারেন। ওই হাত দিয়ে কাজ করতে পারেন। এতে বড় ধরনের রক্ত জমাট বাঁধা বা হেমাটোমা হওয়ার আশঙ্কাও থাকে না। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ৩ বছর আগে কব্জির নিচে ডিস্টাল রেডিয়াল আর্টারিতে এনজিওগ্রাম ও এনজিওপ্লাস্টি বাংলাদেশে শুরু করেন অধ্যাপক মীর জামালউদ্দিন।