কোন বিষয়টি আপনাকে ধূমপান করতে আগ্রহী করে তুলবে তা আপনিই ভালো জানবেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, দিনের যেই সময়গুলোতে আপনার ধূমপান করতে ইচ্ছা হয় সে সময় অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করা উচিত।
ধরা যাক কাজের বিরতির সময়টায় আপনার ধূমপান করার অভ্যাস, তাহলে ধূমপান ছাড়ার পর ওই সময়টুকু কাটাতে পারেন কোনো সহকর্মীদের সঙ্গে গল্প করে, বই পড়ে বা হেঁটে আসুন এক চক্কর। আপনার অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসকে বদলে ফেলুন স্বাস্থ্যকর কিছুতে।
আসলে ধূমপানের ইচ্ছা একেকজনের বেলায় একেক রকমভাবে জেগে ওঠে। তবে সাধারণভাবে বেশিরভাগ ধূমপায়ীর দৈনন্দিন জীবনে এমন কিছু সময় থাকে যখন ধূমপান করতে ইচ্ছা হয়। সেগুলো থেকে মুক্তি পাবেন এভাবে:
১. অফিসের কাজ, পড়াশোনা কিংবা ঘরের কাজ থেকে বিরতি
একটানা কাজ করার পর একটু বিরতি পেলেই মনটা যেন আনচান করে ওঠে সিগারেটে এক টান দেয়ার জন্য, তাই না? এমন সময় ধূমপানের বদলে যা করতে পারেন:
* একটু ফেসবুকে উঁকি দিন, ইউটিউবে কোনো ভিডিও দেখুন।
* রাস্তায় একটা চক্কর দিয়ে আসুন।
* স্বাস্থ্যকর কোনো নাস্তা খান, যেমন আপেল।
* রান্নাঘরে গিয়ে এক গস্নাস পানি খান।
২. খাওয়া-দাওয়ার পরে
অনেকেই খাওয়ার পরে সিগারেট খান, ধূমপান ছাড়ার পর এই ইচ্ছা দূর করা অনেক কঠিন হতে পারে। এ ক্ষেত্রে যা করতে পারেন:
* স্বাস্থ্যকর কোনো ডেজার্ট খান।
* খাওয়া শেষে সোজা চলে যান পেস্নট পরিষ্কার করতে।
* কোনো পাজল অথবা এক কথায় উত্তর দেয়ার কুইজে মেতে উঠুন, এতে আপনার মনোযোগ ধূমপান থেকে দূরে সরে যাবে।
৩. চা-কফি
অফিস কিংবা ক্লাসের ফাঁকে টং দোকানে দাঁড়িয়ে চায়ে চুমুক দেয়া অনেকের রোজকার অভ্যাস, সঙ্গে সিগারেট তো থাকবেই। ধূমপান ছাড়ার পর এই অভ্যাসকে যেভাবে বদলাবেন:
* সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিউজ ফিডটা ঘুরে আসুন চা-কফি খেতে খেতে।
* কোনো বই কিংবা পত্রিকা পড়ুন।
* এমন কোনো বন্ধুর সঙ্গে আড্ডায় মেতে উঠুন যিনি ধূমপান করেন না।
৪. দুশ্চিন্তা
দুশ্চিন্তা অনেকের ধূমপান করার প্রধান কারণ। তবে ধূমপান করে কিন্তু দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হওয়া যায় না, আছে আরও উপায়:
* আপনার ফোনে মেডিটেশন অ্যাপ ডাউনলোড করে নিন, ৫ মিনিটের জন্য ধ্যান করুন।
* ৫ মিনিট হেঁটে আসুন।
* আপনার দুশ্চিন্তার কারণ নিয়ে কোনো বন্ধুর সঙ্গে কথা বলুন, হয়তো তিনি আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন।
৫. ট্রাফিক জ্যামে কিংবা অপেক্ষার প্রহরে
অপেক্ষার কঠিন সময়টা সহজ করতে অনেকেই সিগারেট জ্বালান। এ ক্ষেত্রে ধূমপান ছাড়ার পর আপনি নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারেন অন্যকিছু দিয়ে:
* কোনো অডিও বুক কিংবা গানের পেস্ন লিস্ট ডাউনলোড করে নিন, শুনতে শুনতে সময় পার করে দিন।
* এমন কোনো বন্ধু কিংবা আত্মীয়কে ফোন করুন যার সঙ্গে অনেকদিন কথা হয় না।
* চিনিমুক্ত কোনো লজেন্স খান বা চিউয়িং গাম চিবান।
* বাসে বসে থাকলে নতুন কোনো বই পড়ুন।
এমন আরও অনেক উপায় আছে ধূমপান থেকে বাঁচার, একটিতে কাজ না হলে আরেকটি চেষ্টা করতে থাকুন। তবে যে পথে হাঁটা শুরু করেছেন, সেই পথ ভুলবেন না যেন।