অফিসে সারাদিন বসে বসে কাজ, বেশির ভাগ দিন বাইরের মশলাদার খাওয়া-দাওয়া, দৈনন্দিন কাজের চাপ আর চূড়ান্ত ব্যস্ততায় জীবনযাত্রায় নিয়মিত নানা অনিয়ম হয়েই চলেছে। আর এই অনিয়মের ফলে বেড়েই চলেছে শরীরের স্তুলতা। চিকিৎসকদের মতে, স্তুলতা বা বাড়তি মেদ থেকে শরীরে একাধিক রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে।
শরীরের মেদ ঝরাতে চান? হাতের নাগালেই এমন কয়েকটি খাবার আছে, যা আপনার মেদ ঝরিয়ে ঝরঝরে হতে সাহায্য করতে পারে। জেনে নিন এসব খাবার কী:
ফুলকপি
ফুলকপি: ফুলকপি খেলে অম্লতার সমস্যা হয় বলে অনেকে এই সবজি এড়িয়ে যান। কিন্তু যাঁদের ফুলকপি সয়, তাঁরা ওজন কমাতে এই সবজি নিয়মিত খেতে পারেন। এক কাপ ফুলকপিতে দুই গ্রাম আঁশ ও ২৭ ক্যালরি থাকে। এতে থাকে ভিটামিন সি, যা আপনার বিপাকীয় প্রক্রিয়া উন্নত করে।
দারুচিনি
দারুচিনি: পলিফেনলসসমৃদ্ধ এই মসলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। সুইডেনের গবেষকেদের এক গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারে দারুচিনি যুক্ত করলে তৃপ্তি বাড়ে। সঠিক পরিমাণে মসলা যুক্ত করলে ক্ষুধা ব্যবস্থাপনা ঠিকমতো করা যায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। এই মসলার উপকার পেতে তেলযুক্ত খাবার এড়াতে হবে।
মটরশুঁটি
মটরশুঁটি : সবুজ মটরশুঁটিতে ডায়েটারি ফাইবার, প্রোটিন ও ভিটামিন আছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এক কাপ রান্না করা মটরশুঁটিতে ৬৭ ক্যালরি থাকে। এটি নাশতা হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবারে বা উচ্চ শর্করার সঙ্গে মিশিয়ে এটি খেলে মূল ক্যালরি কমে।
পেয়ারা
পেয়ারা: প্রতি কাপ পেয়ারায় ১১২ ক্যালরি থাকে, যা নাশতায় খাওয়া যেতে পারে। এক কাপ পেয়ারা খেলে প্রতিদিন যে পরিমাণ আঁশ দরকার, এর ২০ শতাংশ পূরণ হয়। আঁশ ছাড়াও এতে প্রচুর পানি থাকে, যা পেট ভরা রাখে এবং প্রাকৃতিক উপায়ে চিনি কমায়। বাড়তি হিসেবে ভিটামিন সি তো আছেই।
লাল মরিচ
লাল মরিচ: লাল মরিচে আছে ক্যাপসিসিন, যা চর্বি কমানোর হার বাড়ায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদেরা বলেন, ক্যাপসিসিন তাপ উৎপাদনের মাধ্যমে বিপাকীয় সক্রিয়তা বাড়ায়। আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে বলা হচ্ছে, প্রতিদিন ৬ মিলিগ্রাম ক্যাপসিসিন খেলে নারী-পুরুষের উভয়ের ক্ষেত্রেই পেটের চর্বি কমানোর হার বাড়ে।