মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপতালে আরও তিনজনের মৃত্যুর খবর এসেছে।
এরা হলেন- খুলনার রূপসা উপজেলার খাঁজাডাঙ্গা গ্রামের সবজি বিক্রেতা মিজানুর রহমান (৪০), নেত্রকোণার কেন্দুয়ার আব্দুল লতিফের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪০) ও ফরিদপুর সদরের নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের গোলডাঙ্গীচর গ্রামের শেখ শফিউদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩৫)।
সোমবার ভোর থেকে দুপুরের মধ্যে খুলনা, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয় বলে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে কত জনের মৃত্যু হয়েছে তার হালনাগাদ সরকারি হিসাব নেই। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হিসাবে ১৮ অগাস্ট পর্যন্ত অন্তত ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সে হিসেবে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৯ জনে উন্নীত হলো।
চিকিৎসকদের বরাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর বিস্তারিত প্রতিবেদন তুলে ধরা হলো।
খুলনা
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক (আরপি) শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, মিজানুর বৃস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সোমবার সকাল ৭টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত খুলনায় এক বৃদ্ধাসহ পাঁচজনের জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জেলার সিভিল সার্জন এ এস এম আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, খুলনায় সোমবার পর্যন্ত ৫৭৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৮৯ জন, যাদের ২০ জন সোমবার এসেছেন।
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক লক্ষ্মী নারায়ণ মজুমদার জানান, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আগের দিন দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আনোয়ার সোমবার ভোরে মারা যান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আনোয়ার কয়েকদিন নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শরীরের বিভিন্ন অর্গানের কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলার কারণে তার মৃত্যু হয়।”
লক্ষ্মী নারায়ণ জানান, ময়মনসিংহ মেডিকেলে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এপর্যন্ত হাসপাতালে মারা গেছের তিনজন।
গত ২৪ জুলাই থেকে সোমবার পর্যন্ত মোট এক হাজার ৬০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছে ৮৮৩ জন। এখন চিকিৎসাধীন আছেন ১৭৪ জন।
ফরিদপুর
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক কামদা প্রসাদ সাহা জানান, দেলোয়ার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রোববার ভর্তি হন। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
দোলোয়ারের বাবা শফিউদ্দিন শেখ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার ছেলেকে প্রথমে ফরিদপুর সদর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
দেলোয়ার ফরিদপুর শহরের পূর্বখাবাসপুর মসজিদের খাদেম হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৫৭ জন ভর্তি হয়েছে। এখন পর্যন্ত ফরিদপুরের এ রোগে ভর্তি রয়েছে ৩৪৬ জন রোগী।
এ পর্যন্ত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছয় ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হলো বলে কামদা প্রসাদ জানান।