বর্তমান জীবনযাপনে হাঁটার পরিমাণ কমে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। বরং দীর্ঘক্ষণ বসে থেকে কাজ করার প্রবণতাই বাড়ছে। এটি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য ক্ষতিকর। কারণ সুস্থতার জন্য সবচেয়ে জরুরি বিষয়ের একটি হলো হাঁটা। প্রতিদিন আধঘণ্টা সময় অন্তত যদি হাঁটার জন্য আলাদা করে রেখে দেওয়া যায় তা হলে শারীরিকভাবে আপনি সুস্থ থাকবেন। বলা হয়, রোজ অন্তত দশ হাজার পা হাঁটা উচিত সব মানুষের। জেনে নিন হাঁটার ৫টি উপকারিতা-
হৃদযন্ত্র ভালো থাকে: আমাদের হৃদযন্ত্রও অজস্র মাসল দিয়ে তৈরি। শরীরের অন্য অঙ্গের পেশির মতো হার্টের মাসলের সুস্থ থাকার জন্যও নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়ামের প্রয়োজন। হাঁটা খুব ভালো ব্যায়াম, কারণ হাঁটলে আপনার হৃদযন্ত্রের গতি বাড়ে, ফলে হার্টকে বেশি রক্ত পাম্প করতে হয়। হাঁটার অভ্যাস হয়ে গেলে আপনি ক্রমশ জগিং, দৌড়ানো বা অন্য কার্ডিও ব্যায়াম করে দেখতে পারেন।
হাড়ের জয়েন্ট মজবুত হয়: হাড়ের জোড়ের জায়গাগুলো নমনীয় না হলে নানা সমস্যা হয়। ঠিকভাবে পা বা হাত ছড়াতে পারবেন না, জয়েন্টের স্থিতিস্থাপকতা ক্রমশ কমতে আরম্ভ করবে। এই পরিস্থিতি বেশিদূর যেতে দেবেন না, তা হলে একটা বয়সে সোজা হাঁটাই মুশকিল হয়ে পড়বে। হাড়ের স্থিতিস্থাপকতা কমার আগেই নিয়মিত হাঁটাচলা শুরু করুন।
হাড় শক্ত রাখে: নিয়মিত ব্যায়াম বোন মাস অটুট রাখে, বাড়ায় হাড়ের ডেনসিটি। হাড়ের ঘনত্ব যত বেশি হবে, তত কমবে আর্থরাইটিসের আশঙ্কা। হাড় শক্ত হলে তা ভাঙে কম। চোট লাগে কম। হাঁটলে সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে, বাড়ে ফ্লেক্সিবিলিটি।
কোমরের ব্যথা কমে: যারা দীর্ঘ সময় একটা চেয়ারে সোজা বসে কাটান, তাদের কোমরের পেশির উপর বাড়তি চাপ পড়ে। সেজন্যই বলা হয়, কাজের ফাঁকে মাঝে মাঝে উঠে দাঁড়িয়ে একটু হাঁটাচলা করে নেওয়া উচিত। আর প্রত্যেকদিন যদি নিয়ম করে হাঁটার অভ্যাস তৈরি করেন, তাহলে সমস্যাটার অস্তিত্বই থাকবে না কিছুদিন পর।
স্ট্রেস কমায়: যদি আপনাকে প্রায়ই স্ট্রেসের মধ্যে থাকতে হয় তাহলে তো আজ থেকেই হাঁটার অভ্যাস তৈরি করা উচিত। স্ট্রেস দূর হবে।